কুলতলিতে ৬০০ পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার কে ত্রাণ বিতরণ
দীর্ঘ পঞ্চাশ দিনের বেশি অতিক্রম হয়েছে লকডাউন।লকডাউনের জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারগুলি।এমন ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় পরিয়াযী শ্রমিক পরিবারের পাশে সাহায্য সহযোগিতা করে তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা কুলতলি মিলনতীর্থ সোসাইটির কর্ণধার লোকমান মোল্ল্যা। সোমবার সকালে প্রায় ৬৫০ পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার কে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই একত্রিত করেন।তাঁদের প্রত্যেককে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি প্রায় সাত দিনের খাদ্যসামগ্রী তুলেদেন এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের হাতে।উল্লেখ্য করোনার তান্ডবে দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল লকডাউন।আর এই লকডাউনের জেরে হরিয়ানা,দিল্লী,কর্ণাটক,উড়িষ্যা,রাজস্থান,তামিলনাড়ু সহ ভিন রাজ্যে আটকে পড়ে রয়েছেন সুন্দরবন এলাকার হাজার হাজার শ্রমিক।
বর্তমানে তাঁদের পরিবার পরিজনের অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন।পাশাপাশি লকডাউন চলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জমানো টাকা পয়সা শেষাগত।রয়েছেন অর্ধাহারে,কেউবা অনাহারে।যার ফলে তাঁদের অনেকই চাইছেন যেনতেন প্রকারে বাড়িতে ফিরতে। কিন্তু কোন উপায় না থাকায় পড়েছেন চরম সমস্যায়।অন্যদিকে তাদের পরিবারে পরিজনেরাও পড়েছেন চরম সমস্যায়।আবহাওয়া দফতরের খবরে জানানো হয়েছে করোনার পাশাপাশি বাংলায় আছড়ে পড়তে চলেছে আম্ফান। এই দুইয়ের জোড়া ফলায় জর্জরিত হয়ে বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন সুন্দরবন তথা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার পরিজনেরা।সংকটময় পরিস্থিতির স্বীকার এই সমস্ত পরিযায়ীদের হাতে ত্রাণ তুলেদেন কুলতলি মিলনতীর্থ সোসাইটির কর্ণধার তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী লোকমান মোল্ল্যা।
লোকমান বাবু জানিয়েছেন ”বর্তমানে করোনার করাল গ্রাসে জর্জরিত সুন্দরবনের মানুষজন।আবার ধেয়ে আসছে আম্ফান!সাধারণ পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার গুলি যাতে করে অনাহারে না থাকে তারজন্য আজ ৬৫০ পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছি।”