বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আম্ফানের ভয়ে জবুথবু সুন্দরবন

News Sundarban.com :
মে ১৭, ২০২০
news-image

বিশ্লেষণ মজুমদার, ক্যানিং –

বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন। ৫০ লক্ষের ও বেশী মানুষের বসবাস এই বৃহত্তম দ্বীপে। প্রতিমুহূর্তে প্রাকৃতিক বিপর্যয় কে সামাল দিয়ে বসবাস করতে হয় সুন্দরবন এলাকার বাসিন্দাদের।প্রাকৃতিক ঝড়ঝঞ্ঝার পাশাপাশি জীবন বিপন্ন করে জীবীকা নির্বাহ করতে হয় সুন্দরবনের বাসিন্দাদের।ডাঙায় আছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আর বিষধর সাপের ভয়। জলে আছে কুমীর ,হাঙর সহ অন্যান্য ভয়ঙ্কর জীবজন্তুর ভয়।ভয় রয়েছে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবনের আশাঙ্কাও। এতো কিছুর মধ্যেও লড়াই করে বৃহত্তম এই ব-দ্বীপের বাসিন্দারা বেঁচে রয়েছেন।এরই মধ্যে গত ২০০৯ সালের ২৫ মে ভয়ঙ্কর আয়লার ঝাপটায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল সুন্দরবনের জনপদ।পাশাপাশি ২০১৯ এর ২ মে সামান্য দাপট দেখিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করেছিল ফণী।আবার ২০১৯ এর ৮ নভেম্বর বুলবুল কোন বাধা না মেনে সজোরে দাপট দেখিয়ে হানা দিয়েছিল সুন্দরবনে।বাড়িঘর,গাছপালা ভেঙে ধুলিস্যাত করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে দিয়েছিল।বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে অস্তিত্ব সংকটে সমগ্র সুন্দরবন।সেইসব ক্ষত এখনও অবধি শুকায়নি।এতো সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে মার্চ মাসে আবার থাবা বসিয়েছে অদৃশ্য মহামারী ভাইরাস করোনা।এই ভাইরাসে জর্জরিত গোটা পৃথিবী সহ বৃহত্তম এই ব-দ্বীপ সুন্দরবনও।অদৃশ্য ভাইরাস আটকাতে শুরু হয়েছে লকডাউন।বাঁচার জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর মহামারী ভাইরাসের সাথে সুন্দরবনের বাসিন্দারা যখন সমানতালে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে,ঠিক তখনই অদৃশ্যের কালো মেঘের মতো ভীতীর সঞ্চার জাগিয়ে ধেয়ে আসতে চলেছে প্রাকৃতিক ঘুর্ণিঝড় আম্ফান।

দীর্ঘদিন লকডাউন চলায় এলাকায় মাঠের মধ্যে পড়ে রয়েছে ফসল।শঙ্কায় রয়েছে নদীবাঁধে ফাটল।এতো সবের মাঝে হানা দিতে পারে আম্ফান। এমনই সতর্কবার্তা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।সতর্কবার্তা জারী হতেই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে সুন্দরবনের পঞ্চাশ লক্ষের ও বেশী বসবাসকারী মানুষজন।
আবহাওয়া দফতর সুত্রের খবর সুন্দরবনের বঙ্গপোসাগরের গভীরে একটি নিন্মচাপ তৈরী হয়েছে।ঘণীভূত হয়ে সাইক্লোনের আকার নিতে পারে।আগামী ১৯ মে র মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে সুন্দরবন এলাকায়।সচেতনতা ও সতর্ক করতে গ্রামে গ্রামে শুরু হয়ছে মাইকিং,পোষ্টার সাঁটানোর কাজ।এমনিতে করোনা ভাইরাসে জর্জরিত সমগ্র দেশ তথা এই সুন্দরবন।পাশাপাশি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো আঘাত হানতে পারে আম্ফান।আম্ফান আসছে শুনে রীতীমতো আতঙ্কিত হয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সুন্দরবনের পঞ্চাশ লক্ষের অধিক বাসিন্দা।