অনলাইন আবৃত্তি প্রতিযোগিতার নজির গড়লেন নামখানার এলআইসি’র এজেন্ট

ঝোটন রায়, নামখানা: অনলাইন আবৃত্তি প্রতিযোগিতার নজীর সৃষ্টি করলেন নামখানা ব্লকের দশ মাইল বাজারের এলআইসি-এর এজেন্ট অমিত মল্লিক। লকডাউন এর মধ্যে উনার ভাবনা সাড়া ফেলে দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আবৃত্তি প্রতিযোগিদের। উনার শর্তাবলী অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে ছেলে মেয়েরা বাড়ির মধ্যে থেকে আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ভিডিও অনলাইনে একে একে আসতে থাকে। যার মধ্যে বিচারকমণ্ডলীর বেছে নেওয়া পাঁচটি আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ফেসবুকে লাইক এবং শেয়ারের ভিত্তিতে স্থান অধিকার করে।
এলআইসি এজেন্ট অমিত বাবু জানান, আমরা সবাই এখন এক গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের জীবনে অনেক পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। করোনার তাণ্ডবলীলা ক্রমশ আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। সবথেকে খারাপ অবস্থা, বাড়ির ছোট ছোট শিশুদের। এই অবস্থা চলতে থাকলে বাড়ির শিশুদের মানসিক বিকার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এমত অবস্থায় ওদের নিয়ে আমার ভাবনা। সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে একটি পদক্ষেপ নিলাম। যেখানে বাড়ির ছোট ছোট শিশুরা তার বাড়ির লোকেদের সঙ্গে আনন্দ করতে পারবে এবং তার সঙ্গে তাদের মনের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটবে। আমাদের প্রতিযোগিতার নাম ‘অনলাইন আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ।’
তিনি আরো বলেন, বাড়ির ভেতর থেকে ভিডিও রেকর্ডিং করা শিশুদের যেকোনো আবৃত্তি একটি নির্দিষ্ট নাম্বারে পাঠিয়ে দেয়। পাঠানো আবৃত্তির মধ্যে সেরা পাঁচটি আবৃত্তি আমরা ফেসবুক পেজে আপলোড করি। সেখানে দেখা যায় অভূতপূর্ব সারা মিলেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৩২ জন আবৃত্তি প্রতিযোগি অংশ নেয়। এই ব্যবস্থাটি অত্যন্ত একটি সুন্দর মনোগ্রাহী হতে পারে। আগামী দিনের চলার পথে বাড়িতে বসে মনোরঞ্জনের বড় মাধ্যম। এর ফলে কিছু প্রতিভা বেরিয়ে আসতে পারে।
তিনি বলেন, আমি একজন এলআইসি এজেন্ট হিসাবে প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ, যেভাবে এই ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছেন। আশা রাখি বাড়ির ছেলে মেয়েদের মনের কথা আরো বেশি করে ভাববো। যেসব প্রতিযোগি ফেসবুকের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তারা অনলাইন মারফত পুরস্কার পাবেন।
প্রতিযোগিদের নাম
১।পাপড়ি মন্ডল (গোসাবা)
২।অর্চিশা মাইতি (ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল)
৩।আবৃত্তি মন্ডল (কাকদ্বীপ)
৪।ঋশভ পাড়িয়া (ডায়মন্ড হারবার)
৫।উপমা কামিলা (নামখানা)
ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উদ্দেশ্যে এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনলাইনের বিশিষ্ট মানুষজন।