শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অটো কিংবা অ্যাম্বুলেন্স করে অবাধ যাতায়াত বহিরাগতদের,সক্রিয় গ্রামবাসীরা

News Sundarban.com :
এপ্রিল ১৬, ২০২০
news-image

 

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং -রাস্তাতে অটো বের হলেই অটোর সামনে চুন দিয়ে লেখা জ্বল জ্বল করছে “রোগী”।অ্যাম্বুলেন্স ও তার বৈধতা সুযোগ নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাত্রী পরিবহন করে চলেছে।লকডাউনে যাতায়াত নিষিদ্ধ।তারপর বাইরে গিয়ে আটকে পড়া পরিযায়ীরা বাড়িতে ফিরতে মরিয়া। সেই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স ও অটো চালকের পোয়া বারো। অতিরিক্ত টাকা ভাড়া পকেট ভরতে ব্যস্ত। কিন্তু কে জানে সকলের অজান্তে করোনা যে গ্রামে প্রবেশ করতে পারবে না একথা টা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারবে না।অগত্যা গ্রামের মধ্যে বহিরাগতদের অবৈধ ভাবে প্রবেশ আটকাতে সচেতনতা গড়ে তুলে সন্দেহজনক গাড়ি গুলিতে চেকিং শুরু করলো।আর চেকিং শুরু হতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী সেজে একজায়গা থেকে অন্যত্র যেতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়লো বহিরাগতরা। বৃহষ্পতিবার দুপুরে এমন রহস্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার পালবাড়ি এলাকায়।কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকার তিনজন এদিন দুপুরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাসন্তীর দিকে যাচ্ছিলেন। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স কে আটকায়।এ্যাম্বুলেন্সে বসে থাকা লোকজন বলতে থাকেন বাসন্তী হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাচ্ছি। অথচ অ্যাম্বুলেন্সে কোন রোগী নেই। তারপর কলকাতা থেকে সুন্দরবনের বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া!গ্রামবাসীরা এ্যাম্বুলেন্স চালক কে চাপ দিতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। আগত্যা গ্রামবাসীরা অ্যাম্বুলেন্স চালক সহ তিনজন কে বাসন্তী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। একই ভাবে সোনারপুর থেকে একটি অটোতে রোগী লিখে চারজন বাসন্তী ব্লকের বাঁশীরামে যাচ্ছিলেন। গ্রামবাসী আটকাতে বেপরোয়া ভাবে অটো নিয়ে পালিয়ে যায় অটোচালক।
গ্রামবাসীদের দাবী এমন ভাবে যদি বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত হয় তাহলে সুন্দরবনের গ্রামে করোনা প্রবেশ করলে সমগ্র সুন্দরবনের মনুষ্য সমাজ মুছে যাবে পৃথিবীর বুক থেকে।