করোনার জেরে সরকারী মদের দোকান বন্ধ,অগত্যা হাঁড়িয়াই নির্ভর মদ্যপদের

ক্যানিং -করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের জেরে দেশ তথা রাজ্যজুড়ে চলছে লকডাউন।আর এই লকডাউনের জেরে সমস্ত সরকারী মদের দোকান বন্ধ।আর এই মদের দোকান বন্ধ থাকায় চরম সংকটে পড়েছেন নিত্য মদ্যপায়ীরা।আর এই লকডাউন চললেও যেনতেন প্রকারে অতিরিক্ত দামে মদ কিনে মদ্যপান করতে ব্যস্ত মদ্যপরা।আর সেই মহান সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন অবৈধ মদ কারবারীরা।৮৫ টাকার ৬৫০ মিলিগ্রাম ‘দাদা’ বিকোচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত! ৭৫০ মিলিগ্রাম ‘ওসি’ ৩৮০ টাকার পরিবর্তে বিকোচ্ছে ১০০০ টাকায়! ৭৫০০ মিলিগ্রাম ‘রাম’ কিংবা ৭৫০০ মিলিগ্রাম হুইস্কী ব্লুল ৩৫০,৪২০ টাকার পরিবর্তে ১৫০০ টাকায় বিকোচ্ছে!৫২০ টাকা মূল্যের ৭৫০০ মিলিগ্রাম রয়্যাল স্ট্যাগ বিকোচ্ছে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত!অভিযোগ বেশি দাম দিয়েও পর্যাপ্ত পরিমাণ মদ পাচ্ছে না মদ্যপায়ীরা।
অগত্যা নিরুপায় হয়ে হাঁড়িয়ায় (প্রচলিত নাম ‘পচানী’) চুমুক দিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছে ক্যানিং মহকুমার অধিকাংশ মদ্যপরা।
বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে হাঁড়িয়ার চাহিদা তুঙ্গে থাকায় হাঁড়িয়া ব্যবসায়ীরা ও বিপাকে পড়েছেন।হাঁড়িয়া তৈরীর উপকরণ “বাকর বড়ি“ কিংবা আতপচালের যোগান পর্যাপ্ত পরিমান না থাকায় চড়া দামে কিনতে হচ্ছে হাঁড়িয়া ব্যবসায়ীদের। তবে করোনার তান্ডবে হাঁড়িয়া ব্যবসা দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় খুশি বাসন্তী থানার কুলতলি,বড়িয়া,ফুলমালঞ্চ,বয়ার সিং,ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙ্গা,গোপালপুর,গোলাবাড়ী,নলিয়াখালি। গোসাবার আরামপুর,রাঙাবেলিয়া,গোসাবা,লাহিড়ীপুর,মরিচ ঝাঁপি সহ ক্যানিং মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রামের হাঁড়িয়া ব্যবসায়ীরা।
বেশকিছু মদ্যপায়ীদের কথায় করোনার জেরে সরকারী মদের দোকান বন্ধ,অগত্যা হাঁড়িয়ার উপর নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে আমাদের। কিন্তু হাঁড়িয়ার যা হাল তাতে করে বন্ধ হয়ে গেলে খাবো কি ?