শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চিকিৎসক নার্সদের সুরক্ষিত দেওয়ার জন্য পিপিই পোশাক দিলেন সমাজসেবী

News Sundarban.com :
এপ্রিল ৭, ২০২০
news-image

ক্যানিং -মন্দির-মসজিদ কিংবা গীর্জায় ভগবান কে পাওয়া যায় না। সাক্ষাৎ ভগবান কে পাওয়া যায় একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্রে। আর এমন বাস্তব ঘটনা টি সমগ্র বিশ্ববাসীর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো মহামারী মারণ ভাইরাস করোনা। করোনা ভাইরাস নিয়ে সমগ্র দেশ তথা বিশ্ব উত্তাল। প্রতিনিয়ত ভাইরাস আক্রমণে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে।আর এই ভাইরাস ঠেকাতে প্রয়োজনে লকডাউন এর সময় সীমা ও বাড়তে পারে।আর এমনই ভয়ানক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জীবন বাজী রেখে চিকিৎসক,নার্স,আয়া সহ অন্যান্যরা দিনরাত ২৪ ঘন্টা কাজ করে চলেছেন।আর এই ভাইরাস কে প্রতিহত করার লড়াই চালাতে গিয়ে চিকিৎসক নার্সরাও আক্রান্ত হচ্ছে। যাঁরাই সাধারণ মানুষজনদের কে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলছেন তাঁরাও বর্তমানে সুরক্ষা নিয়ে আতঙ্কিত এবং মৃত্যু মূখে পতিত হচ্ছেন। ইতিমধ্যে ইতালি,ফ্রান্স এর মতো উন্নতশীল দেশে বহু চিকিৎসক আজ মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছেন।যদিও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই মারণ ভাইরাস কে প্রতিহত করার জন্য দেশের মধ্যে সমস্ত রকম উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন পাশাপাশি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।ভাইরাস আক্রমণ থেকে চিকিৎসা বিঞ্জান ও মরনপণ অক্লান্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষজন কে বাঁচানোার জন্য। এমনই রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার চিকিৎসকদের সূরক্ষিত রাখার জন্য তৎপর।সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা বাসন্তী ব্লকের কুলতলি মিলন তীর্থ সোসাইটির কর্নধার লোকমান মোল্ল্যা চিকিৎসকদের আরো বেশী করে সুরক্ষিত রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক ও পিপিই পোশাক তুলেদেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের হাতে।এদিন এমনই সন্ধিক্ষণে লোকমান বাবু কে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে উপস্থিত ছিলেন মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস। এদিন অন্যান্য বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী জয়দেব মন্ডল,সুন্দরবনের কবি ফারুক আহমেদ সরদার,ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ অর্ঘ্য চৌধুরী,সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমর রায়,সহকারী সুপার বসুমিতা আঢ্য।

লোকমান বাবু বলেন “ যখন কোন দেশ বা রাষ্ট্রে মহামারী আক্রমণের কবলে পড়ে সেই সংকটময় মূহুর্তে সরকারে পাশাপাশি সমস্ত স্তরের জনগণ কে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে মহামারী প্রতিহত করা একে বারেই সম্ভব নয়।সেই লক্ষ্যমাত্র নিয়ে প্রথম সারিতে লড়াই করা লড়াকু চিকিৎসক মহলের পাশে দাঁড়িয়ে সামান্যতম সহযোগিতার প্রচেষ্টা চালিয় যাচ্ছি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”