বাইরের লোকের আনাগোনা ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হল পথ
ক্যানিং -করোনা কে প্রতিহত করতে চলছে লকডাউন। আর সেই লকডাউন কে অবঞ্জা করে বেশকিছু বেয়াদপ মানুষজন যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন,আড্ডা মারছেন,তাস খেলছেন আবার কোথাও কোথাও ভীড় জটলা পাকিয়ে গল্পগুজবও করছেন।বাড়ীর মধ্যে থাকার জন্য সরকারী ভাবে একাধিক বার মাইক এ প্রচার করে সচেতনতা করা হলেও তাতে করেও কারোর হেলদোল নেই। কে শোনে কার কথা। ফলে এলাকায় চালু হয়েছে ‘আমরা সবাই রাজা, আমাদের এই রাজার রাজত্বে“।
করোনা মহামারী সংকট পরিস্থিতিতে বেয়াদপদের আনাগোনা রুখতে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের কুলতলি গ্রামের গ্রামবাসীরা মিলিত ভাবে উদ্যোগ নিয়ে বন্ধ করে দিলেন গ্রামের চলাচলের একমাত্র যাতায়াতের বাসন্তী -কুলতলি- চাতরাখালি রাস্তা।
গ্রামবাসীদের আবেদন আপনারা প্রত্যেকেই অবগত আছেন এই লকডাউন টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যতদিন যাচ্ছে করোনার পরিস্থিতি কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। বারংবার বলা স্বত্বেও এই রাস্তায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উদ্দেশ্য বিহীনভাবে বহিরাগত মানুষজন যত্রতত্র চলাচল করছে। সাথে কেউ কেউ সাইকেল, কেউ বাইক, মোটর ভ্যান, কেউ বা টোটো নিয়ে বাজার এলাকায় ইচ্ছমতো ঘুরছেন। জিজ্ঞাসা করলে কোনো সন্তোষ জনক প্রত্যুত্তরও পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত এই সমস্ত বেয়াদপদের উদ্দেশ্য তাস খেলা, আড্ডা, খোশগল্প করা।আর এমন পরিস্থিতি তে এলাকার বাসিন্দারা যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।বারবার তাদেরকে বলা স্বত্বেও তারা থোড়াই কেয়ার করছে না। আইন তো আর হাতে তুলে নেওয়া যায় না তাই অগত্যা মধুসূদন।
অবশেষে গ্রামবাসীরা মিলিত ভাবে এইসব বেয়াদপদের কে রুখতে এই সড়ক পথ অবরোধ করে দেন। তবে একান্ত জরুরীকালীন প্রয়োজনে এই রাস্তায় যাতায়াতের বিকল্প সুযোগ তৈরী করে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। নির্দেশ জারি হয়েছে সকাল ৬ টা থেকে ১০ পর্যন্ত গৃহস্থের বাজারহাট ও জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসা, ওষুধ কেনার জন্য যাতায়াত করতে পারবেন। পাশাপাশি বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত রাস্তা খোলা থাকবে শুধুমাত্র শারীরিক চিকিৎসা ও ওষুধ ক্রয়ের জন্য। গ্রামের বাসিন্দারা বাদল মন্ডল,শঙ্কর,নিতাই মৃত্যুঞ্জয়দের অভিযোগ করোনা নিয়ে প্রশাসনের কঠোর নিষেধাঞ্জা থাকলেও সারাদিনই গ্রামের এবং গ্রামের বাইরের কিছু বেয়াদপ লোকজন অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।তাই সকলের ভালের জন্য বাধ্য হয়েই বড় পাইপ এবং খুঁটি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েই ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যানবাহন চলাচলও। গ্রামের বাসিন্দা বাদল মন্ডল বলেন “শুধুমাত্র সকাল বেলাতেই নির্দিষ্ট সময়ে বাজার করতে কিংবা হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া আমরা কাউকে এই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে দেবো না। আমদের সুরক্ষারজন্য আমাদের এই সমস্ত করতে হচ্ছে”।