তাল গাছের ৩২টি,খেজুর গাছের ৪ টি, দেখতে মানুষের ভীড়
ক্যানিং – দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর গরানবোস গ্রামে একটি তাল গাছের ৩২ টি শাখা।আর এই এমন অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে ভীড় জমাচ্ছে এলাকার শয়ে শয়ে মানুষজন।উত্তর গরানবোস গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ সরদার।তিনি সুন্দরবনের কবি এবং লেখক হিসাবে পরিচিত সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষ ভাবে পরিচিত।তাঁর বিভিন্ন লেখা এবং কবিতা প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন বইতে।সমাজসেবী তথা কবি ফারুক আহমেদ সরদার বরাবরি প্রকৃতিক প্রেমী।তিনি গাছপালা খুব ভালোবাসেন।তাই তাঁর বাড়িতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সমারোহ বর্তমান।আর এই ৩২ শাখারর তাল গাছটি তার বাড়িতেই হয়েছে।এমনকি একটি নারকেল গাছ থেকে ৩ টি শাখা হয়েছে।যা অবিশ্বাস্য হলেও বিষয়টি একেবারে সত্য।আর এই তাল ও নারকেল গাছ দুটিকে দেখতে ভিড় জমাছে এলাকার মানুষজন।কবি ফারুক আহমেদ সরদার বলেন “ বিগত প্রায় ১৫ বছর আগে কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে ছিলাম বেড়াতে।সেখানে বেশ কিছু এই তাল গাছের বীজ পড়ে থাকতে দেখি।আপন মনে কয়েকটা বীজ কুড়িয়ে নিয়ে বাড়িতে আসি।সেই বীজ বাড়ির সামনে একটু মাটি খুঁড়ে বসিয়ে দিয়েছিলাম।প্রকৃতির নিয়মে বীজ থেকে তালগাছ টি বড় হয়ে ওঠে।আর এই গাছের ৩২ টি শাখা হয়েছে।বর্তমানে তাল গাছটির বয়স ১৫ বছর।ছোট ছোট তালও হয়।তিনি আরও বলেন নার্সারি থেকে একটি নারকেল গাছের চারা এনে বাড়িতে রোপণ করি।কিছু দিন পর দেখি একটি নারকেল গাছ থেকে আরও ২ টি শাখা নারকেল গাছ বের হয়েছে।ফলে এক সঙ্গে ৩ টি নারকেল গাছ দাঁড়িয়ে আছে।এই নারকেল গাছের বয়স ৫ বছর ।তবে এখনও পর্যন্ত নারকেল গাছে ফলন আসেনি।এই গাছ দুটি বিষয়ে আমি ঠিক বিঞ্জানভিত্তিক ভাবে আলোকপাত করতে পারবো না।তবে যাঁরা গাছের বিশেষজ্ঞ তাঁরাই ভালো ব্যাখ্যা করতে পারবেন।এদিকে এই দুটি গাছ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামের মানুষজন।তেমনি বাইরে থেকেও আসতে শুরু করছে মানুষজন গাছ দুটিকে দেখার জন্য।তবে এটি কি প্রজাতির তাল ও নারকেল গাছ তা নিয়ে মানুষের মধ্যে চর্চাও শুরু হয়েছে।কেউ কেউ বলছে বিরল প্রজাতির গাছ।
অন্যদিকে ক্যানিংয়ের ট্যাংরাখালি বঙ্কিম সরদার কলেজ সংলগ্ন বাজারের রাস্তার পাশে একটি খেজুর গাছের ৪ টি মাথা। সেখানেও সাধারণ মানুষজন থেকে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কৌতুহল বশত বিরল এই গাছ দেখার জন্য জমায়েত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য সাধারণত নারকেল,তাল, এবং খেজুর গাছ একবীজপত্রী।
আর সেই একবীজ পত্রী গাছের এমন অতিরিক্ত শাখা হওয়ায় বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। যা ক্যানিং মহকুমা তথা সুন্দরবন এলাকার এক বিরলতম নজীর।
যদিও বিশিষ্ট শিক্ষক যাদব চন্দ্র বৈদ্য,স্বরুপ ঘোষ জানিয়েছেন “কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকতা হয়। তারই নমুনা এই গাছগুলি। তবে তালগাছের এমন ৩২ টি মাথা যা পৃথিবীতে বিরলএবং সুন্দরবনের গর্ব।