মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গোষ্ঠি সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাসন্তী,গুরুতর জখম ৪

News Sundarban.com :
মার্চ ৫, ২০২০
news-image

 

নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং -আবারও গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলো বাসন্তী ব্লক।গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে গুরুতর জখম হলেন চারজন যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থক। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহারী মোড় এলাকায়।ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহতরা।আহতরা হলেন মোসারাফ পিয়াদা,
আব্দুল সালাম মোল্লা,রেজাউল মন্ডল,
আমান সরদার। আহতদের মধ্যে মোসারাফ পিয়াদার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই কলকাতায় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরেই বাসন্তীর মানুষজন শান্তি ফিরে পেতে চাইলেও সেটা হচ্ছে না।কে হবে দলের নেতা,কার হাতে থাকবে দলের রাশ?এই নিয়ে শুরু শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। এই গোষ্ঠীকোন্দল কে কেন্দ্র করে বিগত দিনে বাসন্তী ব্লকের বিভিন্ন এলাকা হিংসার আগুনে জ্বলেছে। অগ্নিসংযোগ,বোমাবাজি,খুন,লুঠপাটের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে অনবরত। ফলে বাসন্তী সাধারণ মানুষজন শান্তি চাইলেও দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলে বার বার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বাসন্তী ব্লক।
বাসন্তীতে গোষ্ঠীকোন্দল রুখে দিয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন শাসক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা। তা স্বত্বেও বাসন্তী ব্লকে গোষ্ঠী কোন্দল থেমে নেই।
বুধবার রাতে আবার শুরু হয় কোন্দল।অভিযোগ যুবতৃণমূল কংগ্রেসের চারজন কর্মীকে বাইক মোবাইল কেড়ে নিয়ে লাঠী, রড দিয়ে বেধড়ক মারধোর করে মূলতৃণমূল কংগ্রেসের জনাকুড়ি সমর্থক।আর এই ঘটনায় আহত হয় চারজন যুবতৃণমূল কর্মী সমর্থক।তাদের কে উদ্ধার করে চিকিসৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশাঙ্কাজনক হলে রাতে তাকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। আর এই ঘটনার পর আবার অশান্ত হয়ে ওঠে বাসন্তী।ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বাসন্তী ব্লকের যুবতৃণমূল সংগঠনের নেতা আমানুল্লা লস্কর অভিযোগ করে বলেন ‘দীর্ঘদিন যারা আরএসপি সিপিএমের তল্পী বাহক থেকে বিগত দিনে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন কে শেষ করে দিতে বার বার আক্রমণ করেছে।সেই সমস্ত দুষ্কৃতিরা তৃণমূলের ছত্রছায়ায় ভেক ধরে বাসন্তী ব্লকে তৃণমূলকেই শেষ কয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করে বার বার এমন হাঙ্গামা করে অশান্তির পরিবেশ তৈরী করে চলেছে। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের উপর নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে তছনছ করে দিতে চাইছে তৃণমূল সংগঠন কে।আর বাসন্তী ব্লকে এমন অসামাজিক কাজকর্ম কে মদত দিচ্ছে মন্টু গাজী।ঘটনার কথা দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বদের কে জানিয়েছি। আবার প্রশাসনকেও জানিয়েছি।শান্তিশৃঙ্খলার ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামী দিনে সাধারণ মানুষ পথে নামবে।
অন্যদিকে বাসন্তী ব্লকের মূলতৃণমূল সংগঠনের নেতা মন্টুগাজীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন “গতকাল রাতে জনা কয়েক যুবক মদ খেয়ে এলাকায় অশ্লীল গালিগালাজ করছিল। গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ করলে মদ্যপ যুবকরা তাদের কে মারধোর করে। গ্রামবাসীরাও পাল্টা দেয়।এই ঘটনার সাথে কোন রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। জোর করে রাজনীতির আঙিনায় এনে দলকে কলুসিত করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রশাসন কে জানিয়েছি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।