দোল উৎসসবে মাথায় হাত রঙের ব্যবসায়ীদের

নিং -বাঙালির ১২ মাসে তেরো পার্বণ। আগামী সোমবার শুরু হবে দোল উৎসব।বিভিন্ন রঙের আঙিনায় মেতে উঠবে বাঙালি থেকে সমগ্র দেশবাসী।যা এক জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মহামানবের রঙের আঙিনায় মিলন উৎসব।ইতিমধ্যে দোল উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন আবির আর রঙের পরসা সাজিয়েছেন দোকানাররা।তারাও লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন।দোকানগুলি সাজিয়ে তুলেছেন দোলের বিভিন্ন আবির,রঙ,মুখোশ আর পিচকারীতে।
আনন্দ মুহূর্ত দোল উৎসবের আগেই বাধ সেধেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দফায় দফায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি আর ঝড়।দোলের আগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। ক্রেতার আসছেন ঠিকই কিন্তু বৃষ্টির জন্য রঙ কিংবা আবির কেউ কিনছেন না। শুধুমাত্র পরখ করে দেখেই চলে যাচ্ছেন।
ক্যানিংয়ের এক রঙের ব্যবসায়ী দীপঙ্কর দাস জানিয়েছেন “এক সপ্তাহ আগে আসন্ন দোল উপলক্ষে ব্যাঙ্ক থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা লোন নিয়ে বিভিন্ন রকম দোলের উপকরণ সাজিয়েছি দোকানে।কিন্তু রঙের ক্রেতা নেই।
কি ভাবে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করবো ভেবে উঠতে পারছিনা।”
হেড়োভাঙ্গা বাজারের আর এক রঙ ব্যবসায়ী দুর্গাপদ মিস্ত্রীর কথায় “ ত্রিশ হাজার টাকার রঙ,আবির এবং বিভিন্ন মুখোশ কিনে দোকান সাজিয়েছি। বিক্রিবাটা নেই। ক্রেতারা ঝড় বৃষ্টির জন্য মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।”
অন্যদিকে সুন্দরবনের কবি ফারুক আহমেদ সরদার দুঃখের সাথে বলেন “হোলি কিংবা দোল উৎসব হল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক মহামানবের ভাতৃত্ববোধের মেলবন্ধন উৎসব।দোলের দিন সকলেই রঙ নিয়ে মেতে উঠি আনন্দে।এমনকি একে অপরের গায়ে রঙ দেওয়ার অনুষ্ঠান চলে পঞ্চদোল পর্যন্ত। বর্তমানে প্রাকৃতিকের খামখেয়ালী জন্য দোল উৎসব মাটি হতে চলেছে।দফায় দফায় ঝড় বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের মনে রঙের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে হয়তো সাধারণ মানুষ দোলের আনন্দে মেতে উঠবে ঠিকই। কিন্তু তেমন আনন্দ হবে না।”