চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে

মাত্র একদিনের ব্যবধানে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ভাইরাসটির উৎসস্থল চীনের পর এখন পর্যন্ত এ দেশেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি; যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছেই। বিবিসি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২৯ জন। আর সবমিলিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৩।করোনার সংক্রমণ ‘মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী কিম গ্যাং-লিপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএচও) বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর তা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে। সিএনএন বলছে, সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ২৮৮ জন মানুষ। আর এর সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৪৫ জনে।
চীনে শুক্রবার আরও ৩৯৭ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১০৯ জনের। সারাবিশ্বে এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৬০ জনে। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। কয়েকটি দেশ মিলিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে চীনের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে চীনের করোনায় আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা দুইই কমেছে বলে শনিবার জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, চীনের বাইরে ২৬টি দেশে ১২শ’র বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন আটজন। শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রথমে ১৪২ জন করোনার আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান; এর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই ভাইরাসে আরও ৮৭ জনের আক্রান্তের কথা জানান তারা।