শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কম দক্ষ কর্মীদের আর ভিসা দেবে না যুক্তরাজ্য

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
news-image

কম দক্ষ কর্মীদের আর ভিসা দেবে না যুক্তরাজ্য। দেশটির সরকারের নতুন পরিকল্পনায় অভিবাসন হবে দক্ষতার ভিত্তিতে কিছু পয়েন্টের মাপকাঠিতে। সস্তায় কর্মী পাওয়ার ধারণা থেকেও নিয়োগকর্তাদের সরে আসতে এবং পুরনো দক্ষ কর্মীদের ধরে রাখতে ও অটোমেশন প্রযুক্তির উন্নয়নে জোর দিতে বলেছে সরকার। এ নীতির মূল লক্ষ্য, ব্রেক্সিটের পর সার্বিক অভিবাসন কমিয়ে আনা। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের। যুক্তরাজ্য সরকার চাইছে একটি ‘পয়েন্টভিত্তিক’ অভিবাসন ব্যবস্থা। এ স্কিমের আওতায় বিদেশি কর্মী যারা যুক্তরাজ্যে আসতে চান, তাদের ইংরেজি জানা ও বলার দক্ষতা থাকতে হবে এবং ‘অনুমোদিত স্পনসর’ ও দক্ষতা সম্পন্ন হিসেবে একটি কাজের অফার থাকতে হবে। এই তিন শর্ত পূরণ করলে তারা ৫০ পয়েন্ট পাবেন। সব মিলিয়ে কোনো অভিবাসীকে অন্তত ৭০ পয়েন্ট নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে যোগ্যতা, যে বেতনে আসতে চান এবং কর্মীর অভাব রয়েছে, এমন কোনো কাজে এলে সেক্ষেত্রে পয়েন্ট নির্দিষ্ট রয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র অধিদপ্তর জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর বাইরের দেশের যেসব নাগরিক যুক্তরাজ্যে আসতে চায়, তাদের আগামী বছর থেকে একই মাপকাঠিতে যাচাই করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেন, নতুন ব্যবস্থায় ‘সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও শ্রেষ্ঠরা’ই যুক্তরাজ্যে আসার সুযোগ পাবেন। কম দক্ষ-এমন শ্রমিকদের জন্য কোনো পথ চালু হবে না। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, দর্শনার্থীরা ভিসা ছাড়া ছয়মাসের জন্য থাকতে পারবেন, তবে কাজ করতে পারবেন না। রেস্টুরেন্ট, হোটেল, সেবাখাত এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় দক্ষতাহীন কোনো অভিবাসী চাকরি করতে পারবেন না। অভিবাসন বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া সংস্থা মাইগ্রেশন অ্যাডভাইসরি কমিটির তালিকায় এ মুহুর্তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, মেডিকেল প্র্যাকটিশনার, নার্স, সাইকোলজিস্ট ও ব্যালে নৃত্যশিল্পীর চাকরির সুযোগ রয়েছে।

নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সব অভিবাসী অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রিটেনে থাকার অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত আয় সংক্রান্ত সুবিধা ছাড়া অন্য কোনো সুবিধা পাবেন না। দক্ষ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার পাউন্ড থেকে নামিয়ে ২৫ হাজার ৬০০ পাউন্ড করা হবে। নতুন প্রস্তাবে শ্রমিকদের দক্ষতার সংজ্ঞাও পরিবর্তন করা হবে। যারা এ-লেভেল পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যেটি আগে স্নাতক ছিল। যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা করতে চাইলে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়া লাগবে, ইংরেজি জানা লাগবে এবং তারা নিজেদের আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে।