বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কর্তব্যপরায়ন সিভিক ভলেন্টিয়ারের মানবিক মুখ,খুশি পুলিশ মহলও

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
news-image

ক্যানিং -দুর্ঘটনাগ্রস্থ এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে পাঁজাকোল করে তুলে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করলেন এক কর্তব্যপরায়ন সিভিক ভলেন্টিয়ার।আর এমন মানবিক কর্মকান্ড দেখলেন পথচলিত সাধারণ মানুষজন থেকে সমগ্র ক্যানিংবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে ক্যানিং হাসপাতাল মোড় সংলগ্ন ক্যানিং -বারুইপুর রোডে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে ক্যানিং ভবানী চাইল্ড ইন্সটিটিউট এর দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সুহানা মোল্ল্যা। এদিন সকালে বছর ১৪ বয়সের দাদা সুরাপউদ্দিন মোল্ল্যার হাত ধরে ক্যানিংয়ের আমড়াবেড়িয়া গ্রাম থেকে স্কুলে রওনা দিয়েছিল।বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় দাদার হাত ধরে যখন রাস্তা পারাপার হচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে একটি অটো দ্রুতগতিতে সুহানা কে ধাক্কা মেরে ক্যানিংয়ের দিকে পালিয়ে যায়।অটোর ধাক্কায় দাদার হাত ছিটকে রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়ে ছোট্ট শিশু সুহানা। অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে ছোট্ট বোন। আর এমন করুণ পরিস্থিতি দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে সুহানার দাদা সুরাপউদ্দিন। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ পথচারীরা ছোট্ট ক্ষুঁদে কে ঘিরে ধরে কি করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না।সেই মুহূর্তে ক্যানিং থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ার শুভময় মূখার্জী রাস্তার পাশে একটি দোকানে চা খাচ্ছিলেন।ডিউটি না থাকলেও এই সিভিক ভলেন্টিয়ার দৌড়ে এসে ভীড় হটিয়ে দিয়ে জখম শিশু কে উদ্ধার করে। মুহূর্তে সময় নষ্ট না করে দ্বিতীয় শ্রেণীর এই ছাত্রীকে কোলে তুলে নিয়ে দৌড় শুরু করেন হাসপাতারের উদ্দেশ্যে।প্রায় ৪০০ মিটার রাস্তা দৌড় দিয়ে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরাও জরুরী ভিত্তিতে দ্বিতীয় শ্রেণীর এই ছাত্রীর চিকিৎসা শুরু করেন।তার মাথায় আঘাত লাগায় জরুরী ভিত্তিতে তার সিটিস্ক্যান হয়।বর্তমানে এই ছাত্রী ক্যানিং মহকুমা । হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।অন্যদিকে শুভময় মূখার্জী এই শিশুর বাড়ীতে এবং স্কুলে খবর দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে ফোন করেন।কান্নাকাটি করতে করতে উদ্বিগ্ন হয়ে হাসপাতালে হাজীর হয় ছাত্রীর বাবা বাপী মোল্ল্যা ও মা সুরাইয়া মোল্ল্যা। তারা উদ্ধারকর্তা সিভিক ভলেন্টিয়ার কে এমন কাজের জন্য প্রশংসা করেন।ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং থানার পুলিশ অফিসার স্বপন বিশ্বাস বলেন “এদিন আমাদের এই সিভিক ভেন্টিয়ার কর্মরত অবস্থায় না থাকলেও সে তার কর্তব্য পালন করেছে। পুলিশ মানুষের বন্ধু।এমন কাজের জন্য সমগ্র পুলিশ ডিপার্টমেন্ট খুশি।”
অন্যদিকে সিভিক ভলেন্টিয়ার শুভময় মূখার্জী বলেন “দুর্ঘটনায় রাস্তার পড়ে থাকা এক ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল।অসহায় কিংবা বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য বলে মনে করি।এদিন আমি আমার কর্তব্য পালন করার চেষ্টা করেছি মাত্র।