JNU ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে বিতর্ক উস্কে প্রশ্ন তুললেন ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার

”দীপিকা JNU-এর ক্যাম্পাসে এসে জখম পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সরকারের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কোনও মন্তব্যই করেননি। তাহলে কেন দীপিকার ছবি ‘ছপক’ বয়কট করার কথা বলা হচ্ছে?” JNU ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে বিতর্ক উস্কে প্রশ্ন তুললেন ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার।
JNU-এ হামলা প্রসঙ্গে বিতর্ক উস্কে এবং শাসকদলকে আক্রমণ করে কানহাইয়ার প্রশ্ন, ”দীপিকা JNU-এ এসে মোদীজি, মোটাভাই (অমিত শাহ)-এরও নাম নেন নি (গুজরাতি ভাষায় বড়ভাইকে বলে মোটা ভাই), ওনার ছেলে কীভাবে BCCI এর সেক্রেটারি হয়ে গিয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেননি। উনি শুধু এসেছেন এবং জখম পড়ুয়াদের দেখে চলে গিয়েছেন। উনি কিছুই মন্তব্য করেননি। তাই আমার মনে একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, যে দীপিকা কোনও রাজনৈতিক দলের কারোর নাম না নেওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁর ছবি বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে? তাহলে কি ওনার নিজেরাই বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে সরকারের সমর্থকরাই JNU-তে হামলা চালিয়েছিলেন।”
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়ে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোয় কিছু লোকজন বলতে শুরু করেন, বিবেকানন্দের মূর্তি যখন ভেঙে ফেলা হয়, সেই সময় দীপিকা কোথায় ছিলেন? দীপিকা JNU-তে গুন্ডাদের সমর্থন করে আদপে আফজল গুরুকেও সমর্থন করছেন দীপিকা৷ কেউ আবার বলছেন সামাজির ইস্যু নিয়ে ‘ছপক’ তৈরি করেছেন দীপিকা, সেই কারণেই কি তিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্য়ালয়ে হাজির হলেন?
কেউ কেউ আবার সাফ জানান, এবার থেকে তিনি কোনও বিষয়ে সমর্থন করবেন না। কেউ কেউ আবার দীপিকা টুকরে টুকরে গ্যাঙ-এর সদস্য হলেন বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি৷ কেউ আবার বলতে শুরু করেন, বাম ছাত্র সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়ে টুকরে টুকরে গ্যাঙকে সমর্থন করছেন দীপিকা, অথচ (ABVP) এবিভিপি-র কেউ কেউ ওইদিন আহত হন, তাঁদের সমর্থনে কেন অভিনেত্রী মুখ খুললেন না বলেও প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনদের একাংশ৷ কেউ কেউ বলতে শুরু করেন, দীপিকার পি আর টিম এবার তাঁকে ভুল পথে নিয়ে গিয়েছেন৷ তাই ছপক বয়কট করুন বলে মন্তব্য করতে শুরু করেন অনেকে৷ বলিউড এখনও ডি কম্পানি (দাউদ ইব্রাহিমের কম্পানি)-র টাকায় চলে৷ তাই দীপিকাকে বয়কট করুন বলে আক্রমণ করতে শুরু করেন কেউ কেউ৷
তবে দীপিকা ও তাঁর ছবি ‘ছপক’ কে যাঁরা বয়কটের ডাক দিয়েছেন এদিন তাঁদের দিকেই পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন কানহাইয়া কুমার।