মাওবাদীরা স্বীকার করে নিল রামান্নার মৃত্যুসংবাদ

২০১০ সালের ৬ এপ্রিল। তারমেটলার জঙ্গলে মাওবাদী হানায় নিহত হন ৭৬ জন সি আর পি এফ জওয়ান। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ মাওবাদী নাশকতা। হামলার নেপথ্যে উঠে আসা রামান্না বা রাভালু শ্রীনিবাসের নাম। তারমেটলার জঙ্গলে অ্যামবুশ এবং রাস্তায় অ্যান্টি ল্যান্ডমাইন ভেহিকলে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রশাসনের ঘুম ছুটিয়ে দেওয়া গোটা অপারেশনের নেতৃত্বে ছিল রামান্নাই। গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল রামান্নার মৃত্যু নিয়ে। ওয়ারলেস বার্তা ইন্টারসেপ্ট করে এমনই ইঙ্গিত পেয়েছিল পুলিস। অবশেষে মাওবাদীদের তরফ থেকে অডিও বার্তায় স্বীকার করে নেওয়া হল রামান্নার মৃত্যুসংবাদ।
জানা গিয়েছে, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েছে মৃত্যু হয়েছে রামান্নার। ৫টি রাজ্য তাঁর মাথার দাম দিয়েছিল প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। অডিও বার্তায় মাওবাদী মুখপাত্র বিকল্প জানিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর বস্তারের জঙ্গলে রোগভোগে মৃত্যু হয়েছে সি পি আই (মাওবাদী) সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য এবং দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির সম্পাদক রামান্নার।
দিন কয়েক আগে তেলেঙ্গানা সীমানার কাছে ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামান্নাকে শেষকৃত্য করা হয়েছে বলে খবর। তারমেটলা নাশকতা ছাড়াও একাধিক নাশকতার নেতৃত্বে উঠে এসেছে রামান্নার নাম। পাঁচ রাজ্যের সরকার তার মাথার দাম ঘোষণা করেছিল যার মিলিত অর্থমূল্য কোটি টাকার ওপর। আই জি বাস্তার পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, মোট ৩২ টি এফআইআর রয়েছে রামান্নার নামে। বস্তারের সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করত মূলত রমান্নাই। বিজাপুর এবং সুকমার সীমানাবর্তী এলাকায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দররাজ। সেখানেই কোথাও তার শেষকৃত্য হয়েছে বলে মনে করছে পুলিস।