শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বিধ্বস্তদের সাহায্যার্থে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ: মুখ্যমন্ত্রী

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ২, ২০১৯
news-image

 ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বিধ্বস্তদের সাহায্যার্থে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, “বুলবুল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনওরকম কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। লেট হোপ ফর দ্যা বেস্ট।” শুধু ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রসঙ্গে নয়, মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, “অন্যবারও যখন এরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছিল, তখনও কেন্দ্র কিছু দেয়নি।”

এদিন বিধানসভায় সবংয়ের বিধায়ক গীতারানি ভুঁইয়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে বাংলায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। গীতারানি ভুঁইয়ার সেই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক পরিমাণে শস্যহানির জেরে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণও বেশি…” জাভেদ খান যখন এই উত্তর দিচ্ছেন, ঠিক তখনই নিজে উত্তর দিতে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। জাভেদ খানের কথার সূত্র ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে সাংঘাতিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা কেন্দ্রকে সবটা জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছিল। হেলিকপ্টারে করে তাঁদের পরিদর্শন করানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী ঘটনার পরদিন টুইট করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনওরকম কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। লেট হোপ ফর দ্য বেস্ট।”

প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে বঞ্চনার অভিযোগে বহুবারই জনসভায় সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো ও সেই অভিযোগ রেকর্ড হওয়ার ঘটনা এই প্রথমবারই বলা চলে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “সবরকমভাবে দুর্গতদের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার। যে ৫ লাখ বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, কীভাবে সেগুলি আবার তৈরি করা যায়, তা দেখা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের ১০০ শতাংশ শস্যবিমা দেবে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের তরফে দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ডিগনিটি কিটও। নতুন করে সংসার পাততে গেলে যা যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই রয়েছে সেই কিটে। ৬ লাখ কিট দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের তরফ থেকে যা যা করা সম্ভব, সবটাই করছি।”

কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের পরদিনই সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন ঘটেনি। কোনও সাহায্য মেলেনি।