শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অভাব কে সঙ্গী করে বৃদ্ধ স্বামীর হাত ধরে বিভিন্ন ষ্টেশনে ভিক্ষাই সম্বল অসহায় দম্পতির

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২৪, ২০১৯
news-image

হাত কাঁপছে,পা কাঁপছে টলমল অবস্থায় কোন প্রকারে জীবীকার টানে বছর আশির বৃদ্ধ স্বামীর হাত ধরে বিভিন্ন ষ্টেশনে ষ্টেশনে ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন গুজরান করেন রেণুবালা মন্ডল।দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিংয়ের নিকারীঘাটা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার দম্পতি পালান মন্ডল ীও তাঁর স্ত্রী রেণুবালা মন্ডল।বসবাসের ঘরটি ও থাকার অযোগ্য। কোন প্রকারে কুঁড়ে ঘরে ছেঁড়া ত্রিপল টাঙিয়ে থাকেন দম্পতি। তাঁদের একমাত্র সন্তান বছর পঁয়ত্রিশ বয়সের রঞ্জন মন্ডল। রঞ্জন জন্ম থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। বাসস্থানের ঘরটিও করুণ। ।আর এই কারণে দুবেলা দুমুঠো অন্নের সন্ধানে বিভিন্ন ষ্টেশনে ষ্টেশন ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করে বাঁচার চেষ্টা করছেন বৃদ্ধ দম্পতি। কোনদিন ও একবেলা অন্নের সংস্থান করতে পারেন আবার কখনও বা অনাহারে দিনযাপন করেন বৃদ্ধ দম্পতি।
বৃদ্ধ পালান মন্ডলের দাবী এক সময় মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আমলে ক্যানিং থানা এলাকায় পার্টীর ক্যাডার হিসাবে কাজ করতাম। দীর্ঘদিন কাজ করায় এক পয়সাও মেলেনি,অথচ বামফ্রন্টের বড় বড় নেতারা কোটি কোটি টাকার মালিক। কেউ কোন খোঁ রাখে না।দুবেলা দুমুঠো অন্নের এবং মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করেছি। তাতে করেও অনেক সময় অনাহারে দিন কাটাতে হয়।”
বৃদ্ধা রেণু দেবীর কথায় বৃদ্ধ স্বামীতো ঠিক মতো চলাচল করতে পারে না। কোন রকমে স্বামী কে সাথে করে নিয়ে ষ্টেশনের একপাশে বসিয়ে রেখে ষ্টেশনে ষ্টেশনে আবার কখনওবা চলন্ত ট্রেনে মানুষের কাছে ভিক্ষার জন্য দ্বারস্থ হই।বর্তমানে মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর জন্য মাসে ৪০০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা পাই। তাতে করে তিনজনের সংসার কোনদিনও চলে না।মানবিক মুখ্যমন্ত্রী যদি আমাদের করুণ দুর্দশার কথা ভেবে বাঁচার জন্য সাহায্য করেন ভালো হয়।”