বাসন্তীতে মুসলিম ছাত্রী আবাস অথৈ জলে!কবে হবে উঠেছে সেই প্রশ্ন

বিগত ২০১০ সালে বাসন্তী ব্লকের পিছিয়েপড়া সংখ্যালঘু অধুষ্যিত এলাকা চোরাডাকাতিয়া। এই এলাকায় অসহায় দুঃস্থ মুসলিম সম্প্রদায়ের ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী আবাস গড়ার জন্য ২০১০ সালে নিঃশর্ত ভাবে একবিঘা জমি দান করেছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসী হাজী মতিয়ার রহমান সরদার।তৎকালীন সময়ে প্রায় তিন কোটি টাকার ব্যয় ধার্য্য করে এই ছাত্রীনিবাস গড়ার জন্য তৎকালী রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুর সাত্তার ২০১০ সালে ২১ জুন ছাত্রী আবাসের শিলান্যাস ও করেছিলেন।পরবর্তী কালে বেশকিছু নির্মাণ কাজ শুরু হলেও পরে থমকে গিয়ে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে ছাত্রী নিবাস তৈরীর কাজ।বর্তমানে দীর্ঘ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কোন অঞ্জাত কারণে অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে প্রকল্পের কাজ।ছাত্রীনিবাস নির্মাণ না হওয়া এলাকার মানুষজন সহ ভূমিদাতা হাজী মতিয়ার রহমান সরদার সরকারের বিভিন্ন দফতরে একাধিক বার জানিয়ে কোন ফল না হওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েন। পাশাপাশি ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য এই বাসন্তী ব্লকের অত্যন্ত পিছিয়েপড়া এলাকা চোরা ডাকাতিয়া।দরিদ্র অসহায় সংখ্যালঘু মেয়েরা যাতে করে ছাত্রী নিবাসে থেকে পড়াশোনা করতে পারে তারজন্য এই ছাত্রী নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন বাম সরকার।
নিজের দান করা জমির উপর অবিলম্বে অর্ধসমাপ্ত ছাত্রী নিবাসের কাজ সমাপ্ত করার জন্য কাজ শুরু না হলে আগামী দিনে জমি ফেরত চেয়ে রাজ্য সরকার কে চিঠি পাঠাবেন।
সংখ্যালঘু ছাত্রী নিবাস নির্মাণ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা শিক্ষক আনোয়ার হোসেন কাসেমী বলেন “পিছিয়েপড়া বাসন্তী ব্লকে সহ অন্যান্য ব্লকের সংখ্যালঘু ছাত্রীদের কথা ভেবে রাজ্য সরকার চোরাডাকাতিয়া এলাকায় অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে থাকা ছাত্রী নিবাসটি নির্মাণ করলে এলাকার সংখ্যালঘু দুঃস্থ ছাত্রীরা ছাত্রীনিবাসে থেকে সুন্দরবনের কুলতলির সুকান্ত কলেজ এবং পাঠানখালি হাজী দেশারত কলেজে পড়াশোনা করতে সুবিধা হবে। পাশাপাশি অন্যান্য ব্লকের দুঃস্থ ছাত্রীরাও এই সমস্ত কলেজের কাছে ছাত্রী নিবাসে থেকে পড়াশোনা করতে পারবে।”