শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাতের অন্ধকারে প্রকৃত অসহায়দের খুঁজে খুঁজে শীতবস্ত্র বিতরবণ

News Sundarban.com :
নভেম্বর ১৪, ২০১৯
news-image

এক অভিনব পন্থায় হতদরিদ্র দুঃস্থদের কে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন সুন্দরবনের বিশিষ্ট কবি তথা সমাজসেবী ফারুক আহমেদ সরদার।রবিবার রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় সকলে যখন গভীর ঘুমের মধ্যদিয়ে বিশ্রাম করতে ব্যস্ত ,ঠিক তখনই সেই মুহূর্তে নিশাচরের মতো হাতে শীতবস্ত্র কম্বল নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন রাস্তার ফুটপাথে,পরিত্যক্ত স্থান সহ তালদি,বেতবেড়িয়া,ঘুঁটিয়ারী শরীফ,ক্যানিং ষ্টেশন সহ ক্যানিংয়ের বিভিন্ন প্রান্তে।রাস্তার পাশে মাতলা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা সহ বিভিন্ন ষ্টেশনে প্রকৃত অসহায় দুঃস্থ মানুষ গুলি গভীর রাতের ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে যখন প্রহর গুনছেন কখন সূর্যোদয় হবে সেই অপেক্ষায়!ঠিক সেই মুহূর্তে আসন্ন শীতের গভীর রাতে অসহায় দুঃস্থ দরিদ্র মানুষজনদের কাছে গিয়ে তাদের হাতে তুলে দিলেন শীতের কম্বল।
প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় গ্রামপঞ্চায়েতের উত্তর গরাণবোস এলাকার বাসিন্দা সমাজসেবী তথা সুন্দরবনের বিশিষ্ট কবি ফারুক আহমেদ সরদার ও তাঁর দই বন্ধু রবিবার রাতের অন্ধকারে তালদি,বেতবেড়িয়া,ঘুঁটিয়ারী শরীফ,ক্যানিং ষ্টেশন বিভিন্ন প্রান্ত খুঁজে খুঁজে প্রকৃত অসহায় দরিদ্র জনাপঁচিশ মানুষের হাতে শীতের কম্বল তুলেদেন।
কেন লোক চক্ষুর আড়ালে শীতের গভীর রাতে এমন শীতবস্ত্র বিতরন?এমন প্রশ্ন শুনে কবি ফারুক আহমেদ সরদার জানিয়েছেন “প্রকৃত দরিদ্র অসহায়দের খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। কারণ ওঁনারা পেটের তাগিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকেন একমুঠো খাবার কিংবা বস্ত্রের জন্য। মঞ্চবেঁধে এমন বস্ত্র বিতরণ করলে প্রকৃত দরিদ্র অসহায় মানুষ খুঁজেই পাওয়া মুশকিল। যার জন্য গভীর রাতের অন্ধকারে প্রকৃত অসহায়দের খোঁজ করে তাদের কাছেগিয়ে তাদের হাতে শীতের কম্বল তুলে দিতে পেরে খুশি।”
এমন অভিনব কর্মকান্ডের কথা শুনে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্ট গবেষক তথা বিঞ্জানী ডঃ ধীমান বর্মন,বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক মানিক মন্ডল,শিক্ষক স্বরুপ ঘোষ সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলেন “প্রকৃত অসহায়মানুষের মনের কথাটি কবি ফারুক আহমেদ সরদার উপলব্ধি করতে পেরেছেন। যার জন্য এমন নতুন পন্থা অবলম্বন করে সমাজের প্রতি এমন সমাজসেবা মূলক কাজে ব্রতী হয়েছেন।”