শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

 রাজ্যে বিএসএনএলের পরিষেবা  সচল রাখতে বকেয়া বিদ্যুতের বিল দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ

News Sundarban.com :
নভেম্বর ১৪, ২০১৯
news-image

রাজ্যে বিএসএনএলের পরিষেবা  সচল রাখতে বকেয়া বিদ্যুতের বিল দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। চিঠিতে তিনি আবেদন করেছেন, বিদ্যুতের বিল বকেয়া। সে কারণে লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। ব্যহত হয়েছে পরিষেবা। চারটি কিস্তিতে বকেয়া বিল মিটিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত বিদ্যুত পরিষেবা চালু রাখা হোক।

মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে রবিশঙ্কর প্রসাদ লিখেছেন, রাজ্যজুড়ে বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে বিএসএনএলের। ২৩০০০ হাজার গ্রামীণ ওয়ারলেস রয়েছে গোটা দেশে। বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকায় কেটে দেওয়া হয়েছে লাইন। এতে গ্রাম, পাহাড় ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ অসুবিধার মুখে পড়েছেন। সেখানে বিএসএনএলই একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। বিএসএনএল-কে বকেয়া মেটানোর জন্য ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়ার আবেদন করেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর আশ্বাস, ৪টি কিস্তিতে মিটিয়ে দেওয়া হবে ছাড়, জরিমানা-সহ বকেয়া।  এরইসঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছে বিএসএনএলের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আবেদনও করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

অতিসম্প্রতি জানা গিয়েছিল, BSNL ও MTNL- দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বাঁচাতে ৭৪,০০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে টেলিযোগাযোগ দফতর (ডট)। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। তারা সংস্থাটি বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবনে ঘোষণা করে আর্থিক ত্রাণ। রবিশঙ্করপ্রসাদ জানান, বিএসএনএল ও এমটিএনএল-কে বন্ধ করা হচ্ছে না। তাদের বিক্রি করার কথাও ভাবছে সরকার। বা তৃতীয় পক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়নি। দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল ও এমটিএনএল-কে মিশিয়ে দেওয়া হবে। পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য।