শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এল  প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরেডো-র ট্রেলার।

News Sundarban.com :
নভেম্বর ৮, ২০১৯
news-image

কল্পবিজ্ঞানের প্রতি বাঙালির টান বরাবরই একটু বেশি। সেই টানে যেন অনুঘটকের কাজ করে সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কুর অ্যাডভেঞ্চার। ছোটবেলার বইয়ের পাতার সেই চেনা প্রফেসরকেই এবার  দেখা যাবে চাক্ষুস। না হেঁয়ালি নয়, এবার বড় পর্দাতেই ডেবিউ করছেন আমাদের সকলের প্রিয় প্রফেসর। সৌজন্যে পরিচালক সন্দীপ রায় ও শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরেডো- কল্পবিজ্ঞান ও অ্যাডভেঞ্চারের রুদ্ধশ্বাস মিশেলে আরও একবার সঙ্গী হবে ৮ থেকে ৮০। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এসেছে  প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরেডো-র ট্রেলার।

প্রফেসর শঙ্কু এমন একটি চরিত্র, যা বেশিরভাগ বাঙালির মনে চোখ বন্ধ করলেই ভেসে ওঠে। রুক্ষ, রোগা চেহারা, এক মুখ পাকা দাড়ি, মাথায় টাক, চোখে গোল মেটালিক ফ্রেমের চশমা- প্রফেসরের শঙ্কুর এই সকলেরই যেন ভীষণ চেনা, অনেক আপন। আর সেই চেনা চরিত্রে মাননসইভাবে কাউকে কাস্ট করা যে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, তা বলাই বাহুল্য। প্রফেসরের চরিত্রে দেখা যাবে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়কে। সত্যজিৎ রায়ের আঁকা প্রফেসরের তুলনায় তাঁর মাথার চুল কিঞ্চিত্ বেশি হলেও অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি সেই ব্যবধানটুকু মিটিয়ে দেবেন, এমনটাই আশা সিনেমাপ্রেমীদের। আর সিনেমার ট্রেলারের শুরুতেই ধৃতিমানের ব্যারিটোন যে ছবির আলাদা মুড তৈরিতে বেশ সাহায্য করেছে, তা বলাই বাহুল্য। ট্রেলারে নকুড়বাবুর ভূমিকায় শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ও কিন্তু মন কাড়লেন।

সত্যজিৎ রায়ের নকুড়বাবু ও এল ডরেডোর গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবি। গল্পটি যাঁরা পড়েছেন তাঁরা জানেন, ষোড়শ শতাব্দীর দক্ষিণ আমেরিকার এল ডরেডোর কথা। সেই এল ডরেডোর সোনার শহর ঘিরেই অভিযান বাঙালি বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কুর। আর সেই অভিযানেরই বিভিন্ন রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত ফুটে উঠল ছবির ট্রেলারে। চিতাবাঘের মুখোমুখি হওয়া থেকে বিমানে দক্ষিণ আমেরিকার বুক চিরে যাওয়া… কী নেই সেখানে! দক্ষিণ আমেরিকায় অভিযানের দৃশ্য যেন বাংলা সিনেমায় হলিউডি ফিল্মের স্বাদ। আর এই প্রচেষ্টাকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীরা। সীমিত বাজেটে প্রফেসর শঙ্কুর মতো গল্পকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার ভাবনার প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা।

হলিউডের সিনেমায় কল্পবিজ্ঞান বেশ কমন একটা বিষয় বলা যেতেই পারে। কিন্তু, এত দিন কল্পবিজ্ঞান নিয়ে সেভাবে কাজ হয়নি আমাদের টলিপাড়ায়। হাতে গোনা কিছু সিনেমা বাদ দিলে বিজ্ঞান ও কল্পনার অন্তহীন সমুদ্রে ঝাঁপ দেননি কোনও নির্মাতাই। তার একটা বড় কারণ ছিল অবশ্যই বাজেট। কারণ কল্পনাকে বড় পর্দায় বাস্তবের রূপে ফুটিয়ে তুলতে প্রয়োজন প্রযুক্তির। আর সেই প্রযুক্তিকেই নিপুণ হাতে সামলেছেন শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস স্টুডিয়োজ ও ফোরডিএফএক্স স্টুডিয়োজের ভিএফএক্স টিমের সদস্যরা। বাংলা সিনেমার জন্য গল্পের অভাব নেই। অভাব হয় শুধু বাজেট, সাহসী পদক্ষেপ ও সৃষ্টিশীলতার প্রতি ভালবাসার। যথার্থভাবেই ইউটিউবে ট্রেলারে এক সিনেমাপ্রেমী লিখলেন, “সত্যজিৎ আমাদের স্ট্যান লি ছিলেন অনেক আগে থেকেই।শুধু প্রয়োজন ছিল সাপোর্ট করার মতো কোনো মার্ভেল। ধন্যবাদ এসভিএফ ও সন্দীপ রায়কে।”