বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রয়াত সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন, বয়স হয়েছিল ৮১

News Sundarban.com :
নভেম্বর ৮, ২০১৯
news-image

প্রয়াত সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন সাহিত্যিক। আজ বাড়িতেই তাঁর জীবনাবসান হয়। ২০০০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন প্রতিথযশা এই লেখিকা। ১৯৯৯ আত্মজীবনীমূলক রম্যরচনা নটী নবনীতার জন্য সম্মানিত হন সাহিত্য অকাদেমি পুরষ্কারে। তাঁর বাড়িতে ইতিমধ্যেই লেখক, সাহিত্যিকরা পৌঁছে গিয়েছেন। খবর দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন স্বামী অমর্ত্য সেনকে।

জানা গিয়েছে, কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন নবনীতা দেবসেন। ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ক্রমশ তা ছড়িয়েছিল মস্তিস্ক ও লিভারে। গত ২ দিন বেড়ে গিয়েছিল শ্বাসকষ্ট। আজ সকাল থেকে সব কিছুই হাতের বাইরে চলে যায়। সন্ধে ৭.২০ মিনিটে মৃত্যু হয় লেখিকার।

লেখিকার প্রয়াণে টুইটারে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শোকবার্তা, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ নবনীতা দেবসেনের  প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ৮১ বছর বয়সে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অসংখ্য গল্প, কবিতা, রম্যরচনা ও উপন্যাসের স্রষ্টা  নবনীতা দেবসেন  পদ্মশ্রী, সাহিত্য অ্যাকাডেমি, কমলকুমারী জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করতেন। তাঁর প্রয়াণে সাহিত্য জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি নবনীতা দেবসেনের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

বাবা নরেন্দ্র দেব ও মা রাধারানি ছিলেন সেযুগের বিশিষ্ট কবি দম্পতি। ছোটবেলা থেকেই তাই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা। প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, হাভার্ড ও কেমব্রিজে পড়াশোনা ও গবেষণা। ১৯৭৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। বেশকিছুদিন সামলেছেন বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বও। সাহিত্য অকাদেমি ছাড়াও মহাদেবী বর্মা ও ভারতীয় ভাষা পরিষদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৫৯ প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রথম প্রত্যয়।  প্রথম উপন্যাস ১৯৭৬ সালে, আমি অনুপম।কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, ভ্রমন কাহিনি মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৩৮। ১৯৬০-এ অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের দুই মেয়ে অন্তরা ও নন্দনা।