রবিবার, ১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক,দিদিকে বলো প্রচারে গিয়ে আশ্বস্থ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২৩, ২০১৯
news-image

দিদিকে বলো প্রচারে বেরিয়ে মাতিয়ে দিলেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক।মঙ্গলবার সকালেই ক্যানিংয়ের নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতমূখী বাজার সংলগ্ন এলাকায় দিদিকে বলো প্রচারে গিয়ে শুরুতেই মৎস্যজীবীদের কাছে হাজীর হয়ে তাদের নৌকায় উঠে অভাব অভিযোগ শুনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে দিদিকে বলো কার্ড তুলে দিলেন।পাশাপাশি সাতমূখী বাজারে গিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে আশ্বস্থ করেন।এরপর জয়রামখালী গ্রামের রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে যেতেই বিধায়ক কে সামনে পেয়েই চাষী আন জামান মোল্ল্য, তুমীর ঘরামী,আরসেদ ঘরামীরা একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিধায়ক কে অভিযোগ করে বলে ”চাষের শুরুতে খরায় দুবার বীজতলা শুকিয়ে মারা যায়। সরকারী কোন অনুদান মেলেনি। দেনা পাওনা করে কোন রকমে চাষ করেছি,অর্থ সংকটের জেরে ধান চাষের খোয়ালির কাজও করতে পারছি
না”।
চাষীদের কাছে এমন করুণ আর্তি শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়ে বিধায়ক শ্যামল মন্ডল নিজেই ধানজমিতে খোয়ালির কাজ করতে নেমে পড়েন। ঘন্টাখানেক এমন চাষের কাজ করে মাঠ থেকে উঠে বিধায়ক চাষীদের কে আশ্বস্থ করে বলেন “আপনারা উপযুক্ত প্রমাণ পত্র রেডি করুণ সরকার আপনাদের পাশে আছে । চিন্তার কোন কারণ নেই।”
এদিন জয়রামখালি গ্রামেরই মামুদ আলি গাজীর বাড়ীতে বিশ্রাম নেওয়ার পর বিকালে জয়রামখালি এবং বাণীবাদা বেলেখালি গ্রামে দিদিকে বলো প্রচারের মিছিল নিয়ে পৌঁছাতেই এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত গ্রামের অধিকাংশ সংখ্যালঘু মানুষজন বিধায়ক কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়ে বলতে থাকেন দিদিকে বলো প্রচারের কার্ড নিয়ে কি হবে? আমাদের কে তো তাড়িয়ে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। তাদের দাবী আমরা জন্ম থেকেই এই ভারতবর্ষে বসবাস করে আসছি। আর বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কে বিতাড়িত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা চিন্তিত।
বিধায়ক শ্যামল মন্ডল ,ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী,ক্যানিং ১পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা নস্কর,সহ সভাপতি শ্যামলেন্দু মন্ডল সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব জয়রামখালি ও বাণীবাদা বেলেখালি গ্রামের সংখ্যালঘু মানুষজনদের কে আশ্বস্থ করে তাদের হাতে দিদিকে বলো কার্ড তুলে দেন।পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্ব অভয় দিয়ে বলেন “ এই বাংলায় হিন্দু,মুসলিম,খীষ্টান,জৈন বৌদ্ধ সকলে বসবাস করবেন।আইন প্রনয়ন করে এই জন্মভূমি থেকে তাড়ানো যাবে না।আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই,মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আপনাদের পাশে রয়েছেন,পাশাপাশি তার অনুগত সৈনিক হিসাবে আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি সর্বক্ষণ। ”
এনআরসি র পাশাপাশি এই গ্রামের সাধারণ মানুষজন রাস্তাঘাট,বিদ্যুৎ,পানীয় জল,আইসিডিএস স্কুল নির্মাণ সহ একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারা জানান দীর্ঘ ধরেই তৃণমুল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও এই গ্রামে কোন উন্নয়ণ হয়নি।
গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী বলেন “গ্রামবাসীদের অভিযোগ একে বারেই মিথ্যা নয়।উন্নয়ণ হয়েছে। মানুষের আরো দাবী রয়েছে আমরা সেগুলি আগামী দিনে পূরণ করবো”।