বুধবার, ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অপর্ণা সেনদের পাশে নাসিরুদ্দিন

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১০, ২০১৯
news-image

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলা চিঠি লেখায় ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরব হলেন ১৮০ জনেরও বেশি সাংস্কৃতিক কর্মী। এদের মধ্যে অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, সিনেমাটোগ্রাফার আনন্দ প্রধান, ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার এবং সমাজকর্মী হর্ষ মান্দারের মতো ব্যক্তিরাও রয়েছে।

সিনিয়র কংগ্রেস নেতা শশী থাররও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে এফআইআরের সমালোচনা করে এটাকে নাগরিক বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন।

ভারতে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন, আদুর গোপালকৃষ্ণণ, পরিচালক মণি রত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, শ্যাম বেনেগাল, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী শুভা মুদগল. লেখক রামচন্দ্র গুহসহ ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। গত সপ্তাহে তাদের লেখা চিঠিটির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে বিহারের মজফফরপুরে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার ৭ অক্টোবর নতুন এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা । তারা অপর্না সেনদের লেখা চিঠিটি কিভাবে দেশদ্রোহিতা হলো তা জানতে চেয়েছেন।

বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের চিঠিতে লিখেছেন, ‘ এটাকে কি দেশদ্রোহিতা মূলক কাজ বলা যেতে পারে? নাকি আদালতকে অপব্যবহার করে নাগরিকের কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে?’

লেখক অশোক বাজপেয়ী ,জেরি পিন্টো, শিক্ষাবিদ ইরা ভাস্কর, কবি জিৎ থায়িল, লেখক শামসুল ইসলাম, সঙ্গীতশিল্পী টিএম কৃষ্ণা, পরিচালক-সমাজকর্মী সাবা দেওয়ানসহ অনেকেই ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তারা বলেছেন, জনতার কণ্ঠস্বর রোধের বিরুদ্ধে তাদের কথা চলবে।

তারা বলেছেন, ‘ আমরা আবার একবার এ চিঠি শেয়ার করছি। সাংস্কৃতিক জগত, শিক্ষাজগত এবং আইনজগতের সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ এই চিঠিটি আবার শেয়ার করুন।’ তারা আরও বলেছেন, ‘গণপিটুনি, মানুষের কণ্ঠস্বর রোধ,আদালতের অপব্যবহার এবং নাগরিকদের হেনস্থা করার বিরুদ্ধে আমরা এভাবেই কথা বলে যাব।’

গত ৩ অক্টোবর অপর্ণা সেনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাতে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে দেশদ্রোহিতা ছাড়াও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত এবং শান্তিভঙ্গের চেষ্টা রয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস