বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিক বৈঠকে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
news-image

বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গত বছর অগস্টে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বৃহত্তর স্বার্থে ই-সিগারেটের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই পরামর্শ মেনেই ই-সিগারেটের উত্পাদন, রফতানি, বিক্রি, বিজ্ঞাপন সব কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র। এদিন সীতারামন বলেন, “স্টাইলের জন্য নতুন প্রজন্মের অনেকে ক্ষতিকারক ই-সিগারেটে আষক্ত হয়ে পড়ছেন। সেই দিকে নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত।”

সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেট ব্যবহার করে ইদানীং সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকেরাও মানুষকে এই বস্তুটি ব্যবহার করা থেকে সতর্ক করছেন বারবার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণ (ই-লিকুইড)-এর মধ্যে থাকে প্রপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার এবং নিকোটিন। গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রাসায়নিক গুলি থেকে সাধারণ সিগারেটের ধোঁয়ার সমপরিমাণ ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়। এ ছাড়াও ই-সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে অতিসূক্ষ রাসায়নিক কণা যা ভীষণই ক্ষতিকারক।

গত বছর স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ই-সিগারেট বা ওই জাতীয় দ্রব্যে ব্যবহারের ফলে হৃদরোগের (কার্ডিওভাসকুলার) আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় বা ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাঁরা সন্তানসম্ভবা, তাঁদের গর্ভস্থ ভ্রূণও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ই-সিগারেটে যেভাবে রাসায়নিক নিকোটিন ব্যবহার করা হয় তা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) দ্বারা অনুমোদিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মৃত্যুও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। জাপানের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ই-সিগারেট সাধারণ সিগারেটের চেয়েও ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক।