শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রকৃতি পাঠ আর বন্যপ্রাণিই গবেষণার উপজীব্য রাজের

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯
news-image

 বিবেকানন্দ বসাক

আলিপুরদুয়ারঃ খাঁটি সাধক যেমন ঈশ্বর ছাড়া কিছুই বোঝেন না, খাঁটি গবেষক তো তেমনটাই হবেন, এতো হলফ করে বলা যায়। কাগুজে বাঘ নন তিনি। গবেষণা তাঁর জীবনে ডিগ্রি বা অধ্যাপকদের বেতন বাড়ানোর মতো টার্গেট নয়। পুরোপুরি নেশা আর ভালোবাসা থেকেই পাখি, প্রকৃতি, ববন্যপ্রাণী নিয়ে গবেষণায় বুঁদ হয়ে রয়েছেন আলিপুরদুয়ার জংশনের বাসিন্দা প্রকৃতি প্রেমিক তথা পক্ষী গবেষক রাজ নুনিয়া।পরিবারের প্রতি দায়িত্ব সামলেও প্রকৃতির কাছে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন সিংহভাগ। ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে তাঁর জন্ম। বেড়ে ওঠা রেলকলোনিতে। বাবা স্বর্গীয় নুনিয়া উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থায় চাকরি করতেন। মা স্বর্গীয়া মায়া নুনিয়া ছিলেন গৃহবধূ। পড়াশুনোর পাঠ নেন স্থানীয় সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আলিপুরদুয়ার কলেজে। পরবর্তীকালে ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্যুরিজম এবং ট্রাভেল ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর করেন। তাঁর গবেষণালব্ধ কাজ ফিঙে পাখির জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও শামুকখোল তার শাবকের কীভাবে বনৌষধি ব্যবহার করে? দুটি গবেষণাপত্রই বিজ্ঞান কংগ্রেস থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০০৮ সালে এইচআইভি সচেতনতামূলক কাজে যুক্ত হয়ে ভারত ভ্রমণ করেন। অর্থের উচ্চাশায় জীবনপাত করার ইচ্ছে, কোনওকালেই বাসা বাঁধেনি রাজের। বরং সুযোগ পেলেই সমাজের অন্ত্যজ মানুষের আর্থ সামাজিক পরিকাঠামোর হালহকিকত নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এমনকী লেন্সের মতোই গভীরভাবে আদিবাসী সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতি তাঁর চোখে ধরা পড়ে।