শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কার অভিষেকের ফসল ঘরে তুলবে কংগ্রেস

News Sundarban.com :
জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
news-image

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করায় ভারতজুড়ে দলটির কর্মী-সমর্থকরা আছেন উৎসবের আমেজে। দিল্লি, রায়বরেলী, অমেঠীর পাশাপাশি ভারতের প্রায় সর্বত্রই আনন্দ উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বড় অংশই মনে করছেন, সক্রিয় রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কার অভিষেকের ফসল ঘরে তুলবে কংগ্রেস।

তবে এ উপলক্ষকে কেন্দ্র করে খোঁচা দিতে ছাড়েননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করার দিনে নিজ দলের কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের দলে কোনও সিদ্ধান্ত এক পরিবার বা ব্যক্তির ইচ্ছায় হয় না।’

এর আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) সাধারণ সম্পাদক করার পর পরিবারতন্ত্রের কটাক্ষ করেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তার সুরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বলা হয়, পরিবারই দল। কিন্তু বিজেপিতে দলই পরিবার।’

তিনি বলেন, ‘বিজেপি ক্যাডারদের দল। দলের কর্মীরাই বিজেপি তৈরি করেছেন। গণতন্ত্রের আদর্শ অনুসরণ করা একমাত্র দল বিজেপিই।’

এখানে উল্লেখ্য, অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করে কংগ্রেস। উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে।

প্রিয়াঙ্কার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ‘মাস্টার স্ট্রোক’ বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একটি অংশ। তবে অপর একটি অংশের দাবি, প্রিয়াঙ্কাকে রাজনীতিতে না এনে আর উপায় ছিল না কংগ্রেসের।

প্রিয়াঙ্কাকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিয়োগের প্রতিক্রিয়ায় এর আগে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘উত্তর প্রদেশে মহাজোটে ঠাঁই না পেয়ে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে কংগ্রেস। তাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ওপর বাজি ধরেছে তারা। প্রিয়াঙ্কা কংগ্রেসের কাছে অন্ধের লাঠির মতো। নিউ ইন্ডিয়া কংগ্রেসের কাছে প্রশ্ন করছে, প্রথমে নেহেরু, তার পর ইন্দিরা, তার পর রাজীব, সোনিয়া, রাহুল। এখন এলেন প্রিয়ঙ্কা। বিজেপির কাছে পার্টিটাই পরিবার। ওদের কাছে পরিবারটাই পার্টি। এটাই পার্থক্য। এখন একটি পরিবারের লোকেরা মিলেই কংগ্রেস চালান।’