শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বুলন্দশহরের হিংসার ঘটনায় রাজনীতি হওয়া উচিত নয়:অমিত শাহ

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ৬, ২০১৮
news-image

উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের হিংসা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে বুধবার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ”এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। সিটের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে আসল ঘটনাটি ঠিক কী।”

সম্প্রতি বুলন্দশহরের হিংসার ঘটনায় এক পুলিশ আধিকারিক নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোদী-যোগীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। তাঁর অভিযোগ, মোদী-যোগীর রাজত্বে পুলিশের এমন হাল হয়েছে যে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। পুলিশের যদি এই হাল হয়, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা। কংগ্রেসের তরফে হাইকোর্টের বিচারপতির নজরদারিতে তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল আগেই কটাক্ষ করেছেন যে, মোদী বদলের কথা বললেও কোনও পরিবর্তন হয়নি। তা দেখাই যাচ্ছে। শুধু দুর্নীতি হচ্ছে। আর রাম ও হনুমানের নামে রাজনীতি হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের মন্ত্রী ওমপ্রকাশ রাজভরের বক্তব্য টেনে এনেছেন। ওমপ্রকাশ এ নিয়ে বজরং দল ও বিশ্বহিন্দু পরিষদের দিকে আঙুল তুলেছেন। সেকথাই উল্লেখ করেছেন কপিল সিব্বল। এর পরই তাঁর প্রশ্ন, ”তাহলে মোদীজি কি এই ধরনের বদলের কথা বলেছিলেন?”

যদিও বিরোধীদের কোনও গুরুত্ব যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিতে নারাজ, তা স্পষ্ট হয়েছে তাঁর বক্তব্য থেকে। বুলন্দশহর নিয়ে কয়েকটি কথা বললেও এদিন অমিত শাহ রাজস্থানের নির্বাচন নিয়েই বেশি কথা বলেছেন। আগামী শুক্রবার সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। সেদিন ভোটাররা পদ্ম-প্রতীকেই ছাপ দেবেন বলে আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ”রাজস্থানের মানুষ কংগ্রেসের জাতপাত ও পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিকে অনেক আগেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। তাই এবার বিজেপিই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। আবারও মুখ্যমন্ত্রী হবেন বসুন্ধরাজি।”