শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝামেলা দেখা দিয়েছে গরুর শিং নিয়ে!

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২৫, ২০১৮
news-image

সুইজারল্যান্ড শব্দটা শুনলেই যেন পরিচিত কিছু দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। পাহাড়ের ঢাল, আর বিস্তৃত খোলা প্রান্তর, যেখানে চড়ে বেড়াচ্ছে গরুর পাল। পাহাড়ের ঢাল, বিস্তৃতি খোলা প্রান্তর— সবই ঠিকঠাক আছে। শুধু ঝামেলা দেখা দিয়েছে গরুর শিং নিয়ে!

হ্যাঁ, অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলেও গরুর শিং নিয়েই ঝামেলা তৈরি হয়েছে। গরুর মাথায় এই শিং থাকবে নাকি থাকবে না তা নিয়েই মূলত এই ঝামেলা। আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রীতিমতো গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে।

সুইজারল্যান্ডে বেশিরভাগ গরুর মাথাতেই শিং দেখা যায় না। কারণটি মূলত নিরাপত্তাজনিত। গরুর মাথায় শিং থাকলে সেখানে গরুর মালিককে বছরে প্রায় ১৯০ সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানা গুণতে হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার টাকা আর এই জরিমানা এড়াতে বাধ্য হয়েই দেশটির গরুর খামারিরা তাদের খামারে থাকা গরুর শিং বাদ দেন। এক্ষেত্রে ছোট থাকতেই গরুর শিং বিশেষ উপায়ে কেটে ফেলা হয় অথবা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে পরবর্তী সময়ে সেখানে আর নতুন করে শিং গজায় না।

তবে এবার গরুর শিং নিয়ে সুইজারল্যান্ড সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন সে দেশেরই এক বাসিন্দা। আরমিন কাপল নামে উত্তর-পশ্চিম সুইজারল্যান্ডের এই বাসিন্দার বক্তব্য, গরুর মনের ভাব প্রকাশে সাহায্য করে তার শিং। এছাড়া শিং কেটে ফেলার কারণে গরুর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

আরমিনের এই বিরুদ্ধাচরণকে সমর্থন জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের কয়েক হাজার গরুপ্রেমী। তারাও এখন বলছেন, এভাবে কোনো প্রাণির রূপবদল করা অন্যায়। কোনোভাবেই কোনো প্রাণীর শরীরের অংশ কেটে বাদ দেওয়া উচিত নয়।

দেশের অনেক মানুষের সমর্থন পেয়ে সাহসী হয়ে ওঠা আরমিন কাপল এবার এগিয়ে গেছেন আরও একধাপ। রীতিমতো গণভোটের আয়োজন করে বসেছেন। এই গণভোট হওয়ার কথা রোববার। যদিও এই গণভোটে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তবে গণভোটে গরুর শিং কাটার বিপক্ষে বেশি মানুষের সমর্থন থাকলে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন আরমিন। আর তাতে গরুর শিং নিয়ে দেশটির আইনে রদবদল আসতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।