এই বছর আরও চার ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে
এরাজ্যে ৯০ ডেসিবেলের শব্দ সীমা অতিক্রম করার জন্য আগে থেকেই ১১০টি বাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার সঙ্গে এই বছর আরও চার ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে।দমকল, বাজি বিক্রেতা সমিতি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে টালাপার্ক ময়দানে পরীক্ষা করা হল শব্দ বাজির।
আজ টালাপার্ক ময়দানে শব্দবাজির পরীক্ষা শেষে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে বিপ্লব বৈদ্য বলেন, “বাজি যেখানে ফাটানো হচ্ছে তার চারপাশে ৫ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত যদি শব্দ ৯০ ডেসিবেলের সীমা অতিক্রম করে তাহলে সেই বাজি নিষিদ্ধ করা হয়। আজ পরীক্ষায় দেখা গেল ১১টি বাজির মধ্যে ৪টি বাজির শব্দের সীমা সেই মাত্রা অতিক্রম করেছে। এরমধ্যে আছে ফিফটিন সর্ট স্টারস, ওসিকে বাস্টারের মত বাজি।”
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণত পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ঠিক করে কোন কোন বাজি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই কলকাতা পুলিশ কোনও বাজি বিক্রির লাইসেন্স দেবে কিনা, তা ঠি করে বলে জানালেন ডেপুটি কমিশনার সৌম্য রায়। সৌম্যবাবু বললেন, “কলকাতা পুলিশের তরফে মোট ১১টি বাজির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যে সমস্ত বাজির ডিলার আছে, তাঁদের সবার থেকেই নমুনা নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টর নির্দেশ যাতে আমরা বলবৎ করতে পারি সেই জন্যই আজ বাজির পরীক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করাও আমাদের লক্ষ্য।”কয়েকদিন আগেই সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে, কম দূষণ ছড়ায় এমন বাজি বিক্রি করা যাবে। ফাটানোও যাবে। পাশাপাশি দিপাবলিতে সন্ধে ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। বড়দিন বা অন্য উৎসবের দিনগুলোতে বেলা ১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে।