শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উৎসবের রেশ কাটিয়ে ‘গো স্লো’র’ ঠেলায় অফিসের প্রথম দিনেই বাস দুর্ভোগ

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২৯, ২০১৮
news-image

ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে জয়েন্ট কাউন্সিল ওফ বাস সিন্ডিকেটের ডাকে ‘গো স্লো’ আন্দোলন৷ সরকারি বাসের দেখা মিললেও তা পর্যাপ্ত নয়৷ তার জেরেই নাকাল যাত্রীরা৷ অফিস হোক বা অন্য কোনও গন্তব্য৷ পৌঁছতে মাথার ঘাম পায়ে পড়ার জোগাড়৷ ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট আজ, সোমবার থেকে আগামী বুধবার টানা তিনদিন শুধু অফিস টাইমে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা ও বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাস চালানো হবে। ওই সময়ের বাইরে কোনও বাস স্ট্যান্ড থেকে ছাড়বে না। তবে যাত্রীদের একটাই ভরসা। মাঝপথে নির্ধারিত সময়সীমা পেড়িয়ে গেলেও বাস তখনই থামিয়ে দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে বাসগুলি স্ট্যান্ড থেকে ছাড়বে, সেগুলি গন্তব্য পর্যন্ত যাবে বলে জানিয়েছেন ওই বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা৷
তবে বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি ও হাওড়ার বাস মিনিবাস অপারেটর্স সমন্বয় কমিটি এই আন্দোলনে সামিল হয়নি। রাজ্য সরকার অবশ্য জয়েন্ট কাউন্সিলের এই আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। সারা দিন পথে পর্যাপ্ত সরকারি বাস রাখার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য পরিবহণ নিগম। তাতে সমস্যার লাঘব হবে কী?
কিছু অফিস যাত্রীর বক্তব্য, ‘‘সবার অফিস তো সন্ধ্যা সাতটা আটটা’র মধ্যে ছুটি হয়ে যায় না৷ অনেকেই ৯টা-১০টা’তেও বাড়ি ফেরেন৷ ওই সময়ই বেশি দুর্ভোগ হবে। কারণ রাতে সরকারি বাসও কমে যায়।’’উৎসবের রেশ কাটিয়ে সোমবার থেকেই পুরদস্তুর কাজ শুরু হয়েছে সব অফিসে প্রথম দিনেই বাস দুর্ভোগ৷ পরের দু’দিন কপালে কী আছে তা ভেবেই এখন আশঙ্কায় যাত্রীরা৷
গত জুন মাসে সরকারি বেসরকারি বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। তা ফের বাড়ানোর জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে তিনদিনের এই কর্মসূচি নিয়েছে জয়েন্ট কাউন্সিল। সংগঠনের দাবি, জুন মাসে ভাড়াবৃদ্ধির পর ডিজেলের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে বাস চালিয়ে লোকসান হচ্ছে। এরপর পয়লা নভেম্বর ধর্মতলায় প্রতিবাদ মিছিল করে পরবর্তী কর্মসূচি নেবে সংগঠন।