শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অমৃতসরের জোড়া ফটকে এই মর্মান্তিক ঘটনা, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২০, ২০১৮
news-image

অমৃতসরের জোড়া ফটকে এই মর্মান্তিক ঘটনা। রেললাইনে দাঁড়িয়ে রাবণবধ দেখছিলেন পাঁচশো থেকে সাতশো মানুষ। তখন আপ ও ডাউনে লাইনে দুটি ট্রেন আসে। গতকাল রাতেই মৃত্যু সংখ্যা ৬০ বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছিল। আজ ভোরে আরও একজন আহতর মৃত্যু হয়। তবে এই মুহূর্তে মৃতের সংখ্যা ৭০ ছুঁয়েছে, ।দ্রুতগতির ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান ষাটজন। জখম বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। রেল ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। রাবণবধে বাজি ফাটাতেই বিপত্তি? কাঠামো ভেঙে গায়ে পড়ার আশঙ্কা। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি দর্শনার্থীদের। তাড়াহুড়ো করে পালাতে গিয়ে বিপত্তি। রেললাইনে এসে যান দর্শনার্থীরা। বাজির শব্দে ট্রেনের আওয়াজ শোনা যায়নি। তখনই দ্রুত গতিতে ছুটে আসে দু’টি ট্রেন। ট্রেন দুর্ঘটনার দায় কার? স্থানীয়দের দাবি, এতগুলি মৃত্যুর দায়ভার নিতে হবে প্রশাসনকেই। কারণ, অনুমোদন ছাড়াই রাবণ দহনের আয়োজন করেছিলেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, ধোবিঘাটের দশেরা গ্রাউন্ডে আশি ফুট উঁচু রাবণ তৈরি করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, আশি ফুট উঁচু রাবণ হলে, চারদিকে এতটাই ফাঁকা জায়গা রাখতে হবে। কিন্তু বাস্তবে জায়গা খুবই কম ছিল,,,অনেককেই তাই রেল ট্র্যাকের উপর উঠে রাবণ-দহন দেখতে হয়। প্রশ্ন উঠছে, উদ্যোক্তারা কি আদৌ সরকারি অনুমতি নিয়েছিলেন? নিলেও, কিভাবে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? রেললাইনের উপর দর্শকরা দাঁড়িয়ে আছেন জেনেও কেন তাঁদের সরতে বলেননি উদ্যোক্তারা?রেল কেন আরও সতর্ক হল না? প্রশাসন ও রেলের মধ্যে দায় নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। যে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে এত বড় দুর্ঘটনা সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধুর স্ত্রী। অভিযোগ ঘটনার পরেই এলাকা ছাড়েন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এতবড় দুর্ঘটনার পর নভজ্যোতপত্নী উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করেননি, উল্টে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালান। সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে সিধুপত্নী দাবি করেছেন, রাবণ দহনের পর অনুষ্ঠানস্থল ছাড়েন তিনি। তারপর ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতিবছর দশেরার অনুষ্ঠান হয়। এনিয়ে অযথা রাজনীতি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন নভজ্যোত কৌর সিধু।
দুর্ঘটনার প্রায় দু ঘণ্টা পর পুরোদমে কাজে নামে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। প্রাথমিকভাবে আহতদের উদ্ধারের পাশাপাশি মৃতদেরর শনাক্ত করার কাজ চলছে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহা। মৃত ও আহতদের জন্য মাথাপিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণও ঘোষণা হয়েছে।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে লিখেছেন, ”অমৃতসরের ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে শোকাহত। ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। হতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের সুস্থতা কামনা করছি। আধিকারিকদের সবরকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছি”।
রাহুল গান্ধী , ”অমৃতসরে ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে আঘাত পেয়েছি। পীড়িত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য রাজ্য সরকার ও কংগ্রেস কর্মীদের অনুরোধ করছি”।