মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাবুবাগান সর্বজনীনর এবারের পুজোর থিমে মধ্যে ফুটিয়ে তুলছে ‘বাংলার মাটিতে সুরের মূর্ছনা’

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১৩, ২০১৮
news-image

বাবুবাগান সর্বজনীনের গত বছর থিম ছিল ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’। মণ্ডপে ছিল চারটে রথ। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হয়ে ছিল নানান ধরনের কুপি। সঙ্গে বিষ্ণুপুরের দশাবতার তাস আর কালীঘাটের পটচিত্র।
এবার তাদের নতুন চমক, সাধারণ মানুষের বাংলার বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সম্পর্কে ধারণা নেই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাঙালির নিজস্ব বাদ্যযন্ত্রের পরিচয় করাতে ৫৭ তম বর্ষে বাবুবাগান সর্বজনীন পুজো কমিটি তাদের পুজোর থিমের মধ্যে ফুটিয়ে তুলছে ‘বাংলার মাটিতে সুরের মূর্ছনা’।ঢাকুরিয়ার অন্যতম পুজো কমিটি বাবুবাগান সর্বজনীনের পুজো উদ্যোক্তারা জানান, ‘এ বারের পুজোয় তাদের প্রচার – শব্দবন্ধ ‘বাংলার মাটিতে সুরের মূর্ছনা’। সেখানে পুজো উদ্বোধন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৭ তম বর্ষে তাদের থিমশিল্পী সুজাতা গুপ্ত আর সুব্রত মজুমদার জানান, ‘গোটা ভাবনাটি তুলে ধরা হবে বাংলার আর এক বিশিষ্ট শিল্প টেরাকোটার ফর্মে। তবে এই সুরের মূর্ছনায় মূলত এপার বাংলার সুর তাল বাদ্য তুলে ধরা হলেও থাকছে ওপারের বাদ্য, সুর, তালও। দুই বাংলা আদতে এক। তাদের অন্তরে যে একই সুর দোলা দিয়ে যায় সেই ভাবনাও স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠছে গোটা পরিকল্পনা আর রূপায়ণে। টেরাকোটার কাজে রয়েছে একতারা, দোতারা, মাদল, ঢাক, ঢোল। ঠাকুরের আঙ্গিকেও রয়েছে টেরাকোটা। এক কথায় প্রতিমাও হচ্ছে টেরাকোটারই।’ প্রতিমায় ফুটে উঠতে চলেছে পাঁশকুড়ার শিল্পী বিশ্বনাথ কুম্ভকার আর ভূতনাথ কুম্ভকারের শিল্পনৈপুণ্য। গোটা ভাবনার সঙ্গে মিলিয়ে আবহসঙ্গীত তৈরি করেছেন কল্যাণ সেন বরাট। তিনি মূলত জোর দিয়েছেন বিভিন্ন মাধ্যম থেকে উৎপন্ন শব্দের ওপর। উপকরণে যদিও মাটিই মূল। তা ছাড়াও রয়েছে বাঁশ, দড়ি, খড় ইত্যাদিও।