বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পুজোর বাংলায় ‘তিতলি’ হানার আশঙ্কা

News Sundarban.com :
অক্টোবর ৮, ২০১৮
news-image

বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়ের আগে ‘দয়া’র আবির্ভাব হয়েছিল। তা বাংলাকে বাঁচিয়ে চলে গিয়েছিল ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে। বর্ষা বিদায়ের পরে যে আবার পুজোর বাংলায় নতুন বিপদ আসবে ‘তিতলি’ রূপে, তা ভাবেননি আপামর বাঙালি। এদিন আবহাওয়া দফতর জানাল, ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশের দিকেই অভিমুখ ‘তিতলি’র।
পুজোর বাংলায় ‘তিতলি’ হানার আশঙ্কা আরও প্রকট হল। আবহাওয়া দফতর অশনি সংকেত দিয়েছে, ২৪ ঘণ্টাতেই শক্তি বাড়িয়ে স্বমহিমা ধরবে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। ‘দয়া’র বিপদ কেটেছে, কিন্তু এবার ‘তিতলি’ কী করবে, তা নিয়ে এখন উৎসবপ্রেমী বাঙালি ঘোর চিন্তায়। ‘তিতলি’র শক্তি বাড়ানোর খবরে আশঙ্কার কালো মেঘ বাংলায়।
‘তিতলি’ ওড়িশার দিকে গেলেও বাংলার বিপদ কাটছে না। ‘তিতলি’র প্রকোপে দুর্যোগের ঘনঘটা থাকবে বাংলার আকাশেও। বাংলায় বৃষ্টি চলবে ঠিক পুজোর মুখে। ঝড়ের দাপটও থাকবে। তবে ২০০ কিলোমিটার বেগে ‘তিতলি’র ধেয়ে আসার সম্ভাবনা নেই। তার আতাসটুকু আসবে বাংলায়। ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ‘তিতলি’। সমুদ্র থেকে তা ক্রমশ শক্তি সংগ্রহ করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এদিনই তা স্পষ্ট করে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এরপর ‘তিতলি’র অভিমুখ হবে ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গকে সরাসরি ‘তিতলি’র মুখোমুখি হতে হবে না।
২০১৩ সালে বর্ষা বিদায় নেওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় ‘ফাইলিন’ অসুর রূপে ধেয়ে এসেছিল পুজোর বাংলায়। তারপর ২০১৪ সালে পুজোর আগে হানা দিয়েছিল ‘হুদহুদ’। ‘ফাইলিন’ ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে। আর ‘হুদহুদ’ হানা দেয় বিশাখাপত্তনমে। দুই ঝড়েরই আতাস পড়েছিল পুজোর বাংলায়। আর মাটি করে দিয়েছিল পুজোর আনন্দ।
বঙ্গোপসাগরের ঘনীভূত ‘তিতলি’ জেরে ১০ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই বাংলায় পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদেও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রে ৬০-৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। ফুলে উঠবে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।