নাগপুর ইউনিটের এক ইঞ্জিনিয়ারকে চরবৃত্তির দায়ে গ্রেপ্তার করা হল

পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। নিশান্ত আগরওয়াল নামে ওই ব্যক্তিকে নাগপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিশান্ত দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় সেনার ব্রহ্মস মিসাইল ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। সূত্রের খবর, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাধুনিক মিসাইল সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বহু তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছেন নিশান্ত। উত্তরপ্রদেশ পুলিসের সন্দেহের তালিকায় দীর্ঘদিন ধরেই ছিল নিশান্ত। গত কয়েক মাস ধরে তাঁকে চোখে চোখে রাখা হচ্ছিল। কিন্তু যথোপযুক্ত তথ্য প্রমাণ হাতে না আসায় তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না। গোয়েন্দারা কিছুদিন ধরেই গোপনে নিশান্তের অনলাইন অ্যাকটিভিটির উপরে নজর রাখছিলেন। তারা জানতে পারেন যে নিশান্ত পাকিস্তানের এক মহিলার সঙ্গে নিয়মিত চ্যাট করতেন।পাকিস্তানের সেই মহিলা আদতে ISI-এর এজেন্ট। ISI-র নির্দেশে ওই মহিলা নিশান্তের সঙ্গে অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাঁর কাছ থেকে DRDO-র অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জোগাড় করেছেন।গোয়েন্দারা নিশান্তের কম্পিউটার থেকে DRDO-র একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পেয়েছেন।
ইতিমধ্যে অনেক গোপন তথ্য আইএসআই-এর হাতে তুলে দিয়েছেন নিশান্ত। তবে৷ কী কী তথ্য পাচার হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি গোয়েন্দারা। ব্রহ্মসের মতো গুরুত্বপূর্ণ মিসাইল নিউইটে পাক গুপ্তচরের প্রবেশ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার অফিসারেরা৷ নিশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে স্থলসেনা ও নৌসেনাভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস। প্রায় ২৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরবর্তী লক্ষ্যে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইল। এই মিসাইলের তথ্য চুরি করতে দীর্ঘদিন ধরেই সুযোগ খুঁজছিল পাকিস্তান।