শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শোভন খোয়ালেন জেলা সভাপতির পদ

News Sundarban.com :
অক্টোবর ৬, ২০১৮
news-image

ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এক সময় এমনটাও শোনা গিয়েছিল, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নাকি তৃণমূল ছেড়ে দেবেন। যদিও বাস্তবে তেমনটা ঘটেনি। কিন্তু সম্পর্কের সুতোর বাঁধন আলগা হয়ে গিয়েছিল বহুদিন-ই। দলীয় বৈঠকে প্রকাশ্যেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সতর্ক করতে শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অবশেষে এদিন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল জেলা সভাপতির পদ থেকে।

কোর কমিটির বৈঠকে দলের অন্দরে বেশকিছু রদবদল ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল ভবনে অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে। তাঁর জায়গায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নতুন সভাপতি হলেন শুভাশিষ চক্রবর্তী। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পর্যবেক্ষক করা হল ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে করা হল পর্যবেক্ষক। খর্ব করা হল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষমতা। জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিমকে সহযোগিতা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দলীয় স্তরে আরও একটি বদল ঘটিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকের পর দায়িত্ব বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর। নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে আছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই নদীয়া জেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাবেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বাড়তি দ্বায়িত্বও দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারীকে। পাশাপাশি, তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের দ্বন্দ্বে জর্জরিত কোচবিহার জেলার বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাড়তি দ্বায়িত্ব দেওয়া হল ফিরহাদ হাকিমকে। এদিন কোর কমিটির বৈঠকে দক্ষতার সঙ্গে জেলা পরিচালনা করার জন্য বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ওদের জেলায় দলকে নাক গলাতে হয় না। জেলা পরিচালনা করার বিষয়ে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল নেতৃত্বকে অনুব্রত মণ্ডল ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে অনুসরণ করারও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।এর পাশাপাশি, এদিন দলীয় কর্মীদের কোনওরকম প্ররোচনায় পা দিতে নিষেধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্সবের মরশুমে আগুন লাগাতে পারে দিল্লি। তাই সতর্ক থাকবেন।” বলেন, “কোনওরকম ফাঁদে পা দেবেন না। ফেসবুকের ফেক নিউজ থেকে সাবধান থাকবেন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনও উত্সবেরই নিজস্ব মাহাত্ম্য আছে। কলকাতার শারদ উত্সব পৃথিবী বিখ্যাত। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে এবার দুর্গাপুজোর সম্প্রচার করা হবে বলে জানান তিনি।