বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এখনও নেভেনি বাগরি মার্কেটের আগুন

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
news-image

পঁয়ত্রিশ ঘণ্টা পার। এখনও নেভেনি বাগরি মার্কেটের আগুন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ A এবং F ব্লক। মার্কেটের মধ্যে ঠাসা জিনিস। আগুন নেভাতে হিমশিম দমকলের। ব্যবহার হচ্ছে ফোম। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাগবে আরও তিন দিন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে বড় বাজারের কাছে এই মার্কেটে ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন ৷ রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ৷ কিন্তু সকাল পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও খবর পাওয়া যায়নি ৷ ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ৷ আগুনের নিয়ন্ত্রণে প্রার্থনাই ভরসা স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷
ফুটপাথ জুড়ে হকারদের প্যাকিং বাক্স। অবরুদ্ধ রাস্তা। তারের জালে বাড়তি বিপত্তি। দাহ্যবস্তুতে ঠাসা বাগরি মার্কেট যেন জতুগৃহ। হাইড্রলিক ল্যাডার এনে বহুতলের আগুন নেভানোর চেষ্টা ব্যর্থ। জলের অভাব মেটাতে ডিপ ওয়াটার রাইজারের ব্যবহার।

বাগরি মার্কেটের আগুন আয়ত্তে আনতে এবার আনা হল ফোম। মার্কেটের বহু জায়গায় এখনও আগুন রয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণে আনতেই ফোমের ব্যবহার।
আগুনের গ্রাস থেকে বেঁচে যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা ব্যবসায়ীদের। সোমবার সকালেই ধ্বংসস্তূপ থেকে নানা জিনিসপত্র উদ্ধারে নামেন ব্যবসায়ীরা। একে অন্যের জিনিস উদ্ধারে হাত লাগান। প্রায় সবকিছু পুড়ে খাক হয়ে গেলেও কিছু বেঁচে গিয়েছে। তাই এখন ব্যবসায়ীদের কাছে সান্ত্বনার। বাজারে ছিল না আগুন নেভানোর ব্যবস্থা। কাজে আসেনি ফায়ার এক্সটিংগুইশার। অকেজো সিলিন্ডারই রাখা বাজারে। মেয়াদের সময়ই লেখা নেই সিলিন্ডারে।
বাগরি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কে আশপাশের বহুতলের বাসিন্দারা। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে তাঁদের। প্রাণহানি এড়াতে অনেকেই অন্যত্র চলে গিয়েছে। পুলিশের তরফেও এলাকা ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। তবে, যাঁদের অন্যত্র যাওয়ার উপায় নেই, তাঁরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই বিপজ্জনক এলাকায় রয়েছেন। যেকোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটতে পারে জেনেও, কোনও উপায় নেই তাঁদের।

আগুনের গ্রাসে ক্যানিং স্ট্রিটের প্রাচীন বাগরি মার্কেট। ঠাসা জিনিসে সরু রাস্তা। তারের জঙ্গল। নজরদারি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। দফায় দফায় পরিদর্শনে পুলিশ কমিশনার, দমকলমন্ত্রী। আজ পরিস্থিতি যাচাই করতে বৈঠক নবান্নে। সিইএসসির বক্স থেকেই আগুন। ফুটপাথে হকারদের ডালায় মুহূর্তে ছড়ায় আগুন। প্যাকিংবক্সে ঠাসা অবরুদ্ধ রাস্তায় বাধা দমকলের। কাজে এল না বাজারের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। পুড়ে ছাই বাগরি মার্কেট। ঘটনাস্থল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ঘিরে বিক্ষোভ ব্যবসায়ীদের। দফায় দফায় পরিদর্শনে পুলিশ কমিশনার, দমকলমন্ত্রী। পরিস্থিতি যাচাই করতে আজ নবান্নে মন্ত্রিগোষ্ঠী ও সচিব পর্যায়ের বৈঠক। থাকবে দমকল, পুলিশ, পুর আধিকারিকরারাও।আজ ফের বাগরি মার্কেটে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। মাস্ক পরেই বিল্ডিংয়ের ভেতরে ঢোকেন তিনি।