শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০-২২ চাকার লরি নিষিদ্ধ হলে বন্দর এলাকার পণ্য পরিবহনের ক্ষতি হবে

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
news-image

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন রাজ্যের ব্রিজের উপর ২০ বা ২২ চাকার লরি চলবে না। এই ঘোষণার পর ট্রাক মালিকরা শঙ্কিত। ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০১৫ সালে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম ওভারলোডিং বন্ধ করুন। দেরিতে হলেও উনি এবার সেটা বুঝতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ২০ চাকা নিষিদ্ধ করছেন তাতে পরিবহন ব্যবসার ক্ষতি হবে। বন্দর এলাকায় যে সমস্ত ভারী যানবাহন চলে তার মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক ২০ চাকার গাড়ি।”
ট্রাক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওভারলোডেড গাড়ির জন্য ব্রিজের পাশাপাশি রাস্তারও ক্ষতি হচ্ছে। নতুন রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। পরিবহন ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। ২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট ওভারলোডিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, নিয়ম ভাঙলে তিন মাসের জন্য জেল এবং জরিমানা হবে। বহুদিন বাদে মুখ্যমন্ত্রী নজর করেছেন। কিন্তু ২০ চাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা বিজ্ঞানসম্মত নয় বলে মনে করেন প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, হলদিয়া থেকে আসানসোল যাওয়ার সময় রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাক এবং লরি। কলকাতায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গাড়ির চালকরা কেউ খাবার পাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর অনুরোধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাড়িগুলোকে ঢুকতে দেওয়া হোক। না হলে মূল্যবৃদ্ধি হবে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিতে পচনশীল বস্তু রয়েছে। এভাবে রাস্তায় গাড়ি আটকে থাকলে গাড়ির ভিতরের যাবতীয় বস্তু পচে যাবে। বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে।
২০-২২ চাকার লরি নিষিদ্ধ হলে বন্দর এলাকার পণ্য পরিবহনের ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন বন্দরের কর্তৃপক্ষ। পোর্ট ট্রাস্টের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা হিসেব করছি এখানে কতগুলি ২০ চাকার বড় গাড়ি আসে। বড় গাড়ির সংখ্যাটা যদিও কম। ১ থেকে ২ শতাংশ বড় গাড়ি আসে।”
অন্যদিকে তৃণমূলপন্থী বিশেষজ্ঞ সমাজকর্মী দেব নারায়ণ সরকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে যদি ২০ চাকার ট্রাক ঢুকতে দেওয়া না হয় তাহলে রাজস্বের ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, “আসলে ২০ চাকার গাড়িতে ৬০ থেকে ৭০ টন সামগ্রী ধরে। তাই আপাতত মুখ্যমন্ত্রী সেগুলিকে বন্ধ করেছেন ব্রিজের জীর্ণতার কারণে। দীর্ঘদিন এগুলো বন্ধ থাকলে রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতি হবে।”