বিরোধীদের ডাকা বনধে স্বাভাবিক শহর কলকাতা

বিরোধীদের ডাকা বনধে কলকাতায় সেরকম কোনও প্রভাব পড়েনি। কোনও কোনও জায়গায় অবরোধের চেষ্টা হলেও, নিত্যযাত্রী কিংবা পুলিশের চেষ্টায় বনধ সমর্থনকারীরা সরে যেতে বাধ্য হয়। তবে কংগ্রেস ও বামেদের ডাকা বনধে মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন
সকাল সাড়ে নটা নাগাদ কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া না খুললেও, প্রেসিডেন্সি কার্যত বন্ধ। ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে কলেজ বন্ধের পোস্টার দিয়েছে। গেটে তালা দিয়ে দেয় ছাত্রছাত্রীরা। গেটের সামনে গিয়ে আটকে পড়েন উপাচার্য। গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় রেজিস্ট্রার-সহ অন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের। তবে কলেজের গেট বন্ধের সঙ্গে বনধের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানা গিয়েছে। হিন্দু হস্টেলের দাবিতে ছাত্রদের এই আন্দোলন বলেই জানা গিয়েছে।
সকাল সোয়া সাতটা নাগাদ যাদবপুরে স্টেশনে শিয়ালদহগামী ক্যানিং লোকাল অবরোধ করেন সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা যদিও মিনিট কুড়ি থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। তবুও ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের চাপে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অবরোধ তুলে নিতে বাধ্য হন তাঁরা। ধর্মঘটের সেরকম কোনও প্রভাব পড়েনি। এসএসকেএম-সহ হাসপাতালগুলিতে। অন্যদিনের মতোই ভোর থেকে হাসপাতালে টিকিট কাউন্টারের সামনে ভিড় জমিয়েছেন রোগী কিংবা আত্মীয়রা। কেই বলছেন সপ্তাহে একদিন নির্দিষ্ট চিকিৎসক আসেন, সেই জন্য বনধ উপেক্ষা করে হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বনধে রাস্তায় যানবাহনের অভাব সেরকম না থাকলেও, শিয়ালদহ কিংবা হাওড়ায় যাঁরা ট্যাক্সির খোঁজ করেছেন, তাঁদের অসুবিধায় পড়তে দেখা গিয়েছে। যে দূরত্বের ভাড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা, সেই সব জায়গায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শ্রেণির ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে। যদি ট্যাক্সি সংগঠনের নেতারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ধর্মতলার চিত্রটা ছিল অন্য দিনের থেকে আলাদা। রাস্তাঘাট তুলনামূলক ভাবে ফাঁকা। বাসে যাত্রা সংখ্যা কম। তবে রাস্তায় যাত্রীর তুলনায় গাড়ির অভাব সেরকম নেই বললেই চলে। হেলমেট পড়ে বাস চালাচ্ছেন গাড়ি চালকরা।