বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিমানবন্দর থেকে সরাসরি দুর্ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮
news-image

এদিন দার্জিলিং সফর কাটছাঁঠ করে কলকাতায় ফিরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় বিমানবন্দর থেকে সরাসরি দুর্ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের কারণে দার্জিলিং সফর কাটছাঁট করে কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সন্ধের মুখে কলকাতায় পা রেখেই সোজা দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি ৷ সেখানে ছিলেন DG সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঘটনাস্থান থেকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ, গুরুতর আহতদের এক লাখ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করতে আগামীকাল দুপুর সাড়ে ৩টের সময় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,”সময়ে সময়ে পরিকাঠামো দেখার কাজ করেছি। এই সেতুটি ৫৪ বছরের পুরনো। অনেকক্ষেত্রেই কাগজপত্র থাকে না। কাগজপত্র পেতেই হিমশিম খেতে হয়। পাইলিংয়ের কাজ চলার সময়ে মনে হত যেন ভূমিকম্প হচ্ছে”। মেট্রোর কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মেট্রোর কাজের জন্য এখানে ভাইব্রেশন বেশি হত। আমরা কোনও অ্যাঙ্গেলকে ছোটো করে দেখতে চাই না। কলকাতা পুলিশ মামলা করেছে। ঘটনার তদন্ত হবে। এই ব্রিজ করতে যতটুকু সময় লাগবে ততদিন একটু সহযোগিতা করতে বলব স্থানীয়দের।”এদিন সেতুর উপরে উঠে ভাঙা অংশের পাশে দাঁড়িয়ে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। কীভাবে সেতুর একটা অংশ ভেঙে পড়ল, তা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার কাছে জেনে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও রয়েছেন ঘটনাস্থলে। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে রয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ ও অরূপ বিশ্বাস। এর পাশাপাশি উদ্ধারকাজ কোন পর্যায়ে রয়েছে, সে বিষয়েও খোঁজখবর নেন তিনি। বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, মেট্রো রেল জানিয়েছে, তাদের কাজ এখন চলছিল না। একবছর আগে শেষবার কাজ হয়েছিল। সেতু ভাঙার সময়ে তাদের নির্মাণ কাজের কোনও সম্পর্ক নেই। পূর্ব রেলওয়ে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ তাদের অধীনে ছিল না। এদিন সকালে রাইটসকে তদন্তভার দেয় পূর্ব রেলওয়ে। প্রাথমিক রিপোর্টে তারা বলেছে, মেট্রো রেলের কাজের সঙ্গে এই ব্রিজ বিপর্যয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই ভেঙে পড়েছে সেতু। সংস্থাটির দাবি, ব্রিজে বেশি ভার পড়েছে এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় উপরের অংশে ভার নিয়ন্ত্রণ হয়নি বলেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উদ্ধারকাজে এনডিআরএফ, পুলিশ, দমকল। ক্রেন, পেলোডার দিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। দুর্ঘটনাস্থলে যায় ফরেনসিক দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ বিশেষজ্ঞদের। বিপর্যয়ের পর থেকেই খোঁজ মিলছে না মেট্রোপ্রকল্পের দুই কর্মীর। বিপুল ধ্বংসস্তূপ সরিয়েই চলছে প্রাণের সন্ধান।মঙ্গবার বিকেল ৪.৪০ নাগাদ ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ ৷ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকাজ জোরকদমে। মাঝেরহাটে রাতভর চলে উদ্ধারকাজ। চব্বিশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মাঝেরহাট সেতুতে জারি উদ্ধারকাজ।সেতুতে গর্ত করে তল্লাশি চালানো হয়। স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশিও করা হয়। ব্রিজ ভেঙে মৃত্যু হয় ১জনের, আহত ৩৩। যদিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ১৪। ধ্বংসস্তূপে দুজনের আটকে থাকার আশঙ্কা।