মঙ্গলবার, ৩০শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ভালো নেই ঢাকুরিয়া ব্রিজ

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮
news-image

ঢাকুরিয়া ব্রিজের নীল-সাদার চিরে উঁকি দিচ্ছে ফাটল। ভালো নেই ঢাকুরিয়া ব্রিজের নিচে বসবাসকারী বাসিন্দারাও। বিভিন্ন জায়গায় ধরেছে ফাটল। যত্রতত্র উঠেছে বটগাছ। সাদা-নীল রং করা হয়েছে। কিন্তু যে সমস্ত জায়গা থেকে চাঙর ভেঙে পড়েছে সেই সব জায়গায় সিমেন্ট পড়েনি অথচ রঙের প্রলেপ পড়ে গেছে। মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত ঢাকুরিয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এবং পথ চলতি মানুষজন। প্রায় ৬০টি পরিবার থাকে এই ব্রিজের নিচে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই আতঙ্কিত। বিভিন্ন রকম বিদ্যুৎবাহী তার অযত্নে ঝুলছে ব্রিজের গায়ে। বৃষ্টির জল চুইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ব্রিজটিকে। ব্রিজের নিচ দিয়ে ট্রেন যখন যায় তখন রীতিমতো অনুরণন হয় ব্রিজটিতে। ফলে আতঙ্কে আছেন বাসিন্দারা। এই বুঝি ভেঙে পড়ল ব্রিজ। এই ব্রিজের পাশেই আবার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি।
ব্রিজের নিচে বসবাসকারী বাসিন্দারা যা জানালেন তাতে স্পষ্ট হল তাদের ভয়ের কথা। পথ চলতি যুগল জানালেন, ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। ব্রিজগুলো উপযুক্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করায় ভয়ের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। পথ চলতি মানুষের প্রশ্ন, এ কেমন প্রযুক্তি যে ব্রিজ ভেঙে পড়ছে। কেউ কেউ জানাচ্ছেন রং না করে ব্রিজটিকে উপযুক্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। ব্রিজের উপরে রাস্তারও বেশ কয়েকটি জায়গায় পিচ উঠে গেছে। তার উপর দিয়েই চলছে বাস, ছোট গাড়ি, লরি। গোটা ব্রিজের যত্রতত্র খানাখন্দে ভরা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ব্রিজটিতে বহুদিন রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। যদিও ব্রিজের নিচে বসবাসকারী স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কয়েকমাস আগে এসে ব্রিজটিকে দেখে গিয়েছেন কয়েকজন। কিন্তু ওইটুকুই। রঙের প্রলেপ ছাড়া জোটেনি কিছুই। তবে সূত্রের খবর, ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঝুপড়ি থাকায় অল্পস্বল্প সংস্কার হয়েছে।

আরও দেখুন