মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাহুল গান্ধীর জোরে ধাক্কা খেলো নরেন্দ্র মোদীর

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮
news-image

ফের ধাক্কা খেল পদ্ম ব্রিগেড। কর্ণাটক বিধানসভার সর্ববৃহৎ দল ছিল মোদীর বিজেপিই। কিন্তু পুর-ভোটে হিসেব উল্টে দিল কংগ্রেস। এবার রাহুল গান্ধীর কাছে সরাসরি হার হল নরেন্দ্র মোদীর। জোট করে নয়, একাই বিজেপিকে হারালেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার আগে মোদীকে হারিয়ে পেয়ে গেলেন বাড়তি অক্সিজেনও।বিধানসভায় সরকার গঠনের লড়াইয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের কাছে হার স্বীকার করে পদত্যাগ করেছিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এবার কংগ্রেসের কাছে পুরভোটে হার স্বীকার করলেন প্রাক্তন ওই মুখ্যমন্ত্রী।

চলতি বছরের মে মাসে এই কর্ণাটকেই বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী জোটই দেখিয়ে দিয়েছিল- বিজেপি-কেও রুখে দেওয়া যায়। একাধিক রাজ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠ আসনবিশিষ্ট দল হওয়ার পরও কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে অন্য ছোট দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে এক নতুন ‘ভোট পাটীগণিতে’র সন্ধান দিয়েছিল বিজেপি। অনেকটা সেই কায়দাতেই ২২৪ বিধানসভা আসনের কর্ণাটকে বিজেপিকে এককভাবে ১০৪টি আসন পাওয়ার পরও সরকার গড়তে দেয়নি কংগ্রেস ও জেডিএস। ৮০ আসনের কংগ্রেস এবং ৩৭ আসন পাওয়া জেডিএস হাতমিলিয়ে তৈরি করে জোট সরকার। এই মুহূর্তে সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মহীশূরের মসনদে বসে রয়েছেন দেবগৌড়া-পুত্র তথা জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুতে এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণের মঞ্চও আক্ষরিক অর্থে হয়ে উঠেছিল বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলের জোট সম্ভবনার সবচেয়ে বড় পোস্টার। উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি লোকসভা আসনের পুনর্নির্বাচনে অখিলেশ ও মায়াবতী হাত মিলিয়ে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার বিরোধী স্বপ্নে যে ভাবে হাওয়া যুগিয়েছিল, কর্ণাটকে সরকার গঠান যেন সেই স্বপ্নেরই আরও বড় সাফল্যের নিদর্শণ হয়ে উঠেছিল।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ২,২৬৭টি পুরসভা আসনে ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে ৯৮২টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ৯২৯টি আসন। জেডিএসের দখলে গিয়েছে ৩৭৫টি আসন। ত্রিশঙ্কু পুরবোর্ডে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট গড়ে বোর্ড করবে। এই রাজ্যের ১০০টি পুরসভা ও পুরনিগমের অধিকাংশই কংগ্রেস-জেডিএসের দখলে চলে যাবে।কংগ্রেসের কাছে হার স্বীকার করে তিনি বলেন, পুরভোটে তাদের হারতে হলেও ২০১৯-এ রাজ্যে বিজেপির ফল অন্যরকম হবে। ২০১৯-এ বিজেপিকেই জয়যুক্ত করবেন কর্ণাটকের মানুষ। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের শহরাঞ্চলে বিজেপিরই আধিপত্য ছিল। সেখানেও ধাক্কা খেল বিজেপি। নেমে গেল দ্বিতীয় স্থান। প্রথম স্থানে উঠে এল কংগ্রেস। আর জেডিএস যথারীতি তৃতীয় স্থানে। এককভাবে লড়লেও কংগ্রেস ও জেডিএস জোট বেঁধেই বোর্ডে গড়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।