শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পঞ্চায়েত মামলার রায় বেরনোর পরই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে

News Sundarban.com :
আগস্ট ২৪, ২০১৮
news-image

পঞ্চায়েত ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৪ শতাংশ আসনে জয়লাভ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল বিরোধীরা । আর সেই মামলাতেই যাবতীয় দাবিকে ধুলিস্যাত করে দিয়ে শীর্ষ আদালতে জয়ী হয়েছে মমতা সরকার । সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চায়েত মামলার রায় বেরনোর পরই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। মুখ‍্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, এটা তৃণমূলের নৈতিক জয়। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের কুৎসার বিরুদ্ধে জয়। বিরোধীদের গলায় অবশ্য ‘ভাঙব তবু মচকাবো না’ সুর। তারা সন্ত্রাসের অভিযোগে অনড়। রায়ে নয়, বিরোধীরা গুরুত্ব দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে।

ভোটের ময়দানে জয়ের পর এবার আইনি লড়াইয়েও নৈতিক জয় তৃণমূলের। সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলায় জোর ধাক্কা খেল বিরোধীরা। সর্বোচ্চ আদালত রায় দিল কমিশনের পক্ষে। যাকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের নিশানা করেছে রাজ‍্যের শাসক শিবির। মুখ‍্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, এই জয় মানুষের জয়। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম যে কুৎসা করেছে তার বিরুদ্ধে জয়।
বিরোধীদের দাবি, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের জয়। রাজ‍্যে এসে এই সন্ত্রাসের অভিযোগকে অস্ত্র করেন অমিত শাহ থেকে নরেন্দ্র মোদি। তৃণমূল অবশ্য বরাবরই সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্টের রায়েও ধাক্কা খেল বিরোধীরা। কারণ সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, বিনা লড়াইয়ে জয়ীদের নাম ঘোষণা করতে পারবে রাজ‍্য নির্বাচন কমিশন। কোথাও নতুন করে ভোট হবে না এবং ই-নমিনেশন অবৈধ।
সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েও বিরোধীরা কিন্তু সন্ত্রাসের অভিযোগকেই আঁকড়ে ধরছেন। পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্যের জয় নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘রায়ের মধ্যে অভিনবত্ব কিছুই নেই ৷ রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস হয়েছে ৷ আদালতের রায়ই শেষ কথা নয়, পর্যবেক্ষণে তা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷’ একই মত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীরও ৷ বলেন, ‘৩৪ শতাংশ ফের ভোট হলে প্রভাব পড়ত ৷ নতুন করে ভোট প্রক্রিয়ায় সমস্যা হত ৷ সেকারণেই সম্ভবত রাজ্যের পক্ষে রায় ৷ সুপ্রিম কোর্ট রায় দিলেও জনগণ কি দেখেছে কিন্তু বাস্তব হল অনেকে ভোট দিতে পারেনি ৷ সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পূর্ণ প্রতিফলন নয় ৷ নির্বাচন অংশ না নিয়ে কীভাবে পিটিশন ৷ কমিশনের প্রতি বিন্দুমাত্র বিশ্বাস ছিল না ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের কথা বলেছিলাম ৷’গেরুয়া শিবিরকে বিঁধলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় । সুপ্রিম কোর্টের রায়েই স্পষ্ট হয়ে গেল যে শুরু থেকে বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। শহরে কয়েকদিন আগেই এসেছিলেন বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ, তাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুব্রতবাবু । অনেক লম্বা চওড়া ভাষণ দিয়েছিলেন অমিত শাহ, তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ যা ঘটেছে তার জন্য বিরোধীদের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ, মন্তব্য করেছেন তিনি । ব্রিগেডে ক্ষমা চাওয়া উচিত বিজেপির ।