রাজ্য সরকারের সাহায্যে ফিরতে চলেছে ডোকরা শিল্পের সুদিন

কুটির শিল্পের জেলা বাঁকুড়া। কুটিরশিল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম ডোকরা শিল্প।বাঁকুড়া জেলার বিখ্যাত ডোকরা শিল্প একসময় মূলধনের অভাবে ধুঁকছিল। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বিকনা ডোকরা গ্রামে সব মিলিয়ে ৬০টি শিল্পী পরিবারের বাস। একসময় গ্রামের শিল্পীদের অভাব ছিল িনত্যসঙ্গী। মূলধন জোগাড় করতে পুরোপুরি নির্ভর করতে হত মহাজনদের উপর। মাথায় চাপত সুদের বোঝা। বাধ্য হয়ে অনেকেই ডোকরা শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন। প্রচারের অভাবে ক্রমশ কমতে শুরু করেছিল শিল্পজাত সামগ্রীর বাজারও। ডোকরার সামগ্রী তৈরি করলেও স্তূপ হয়ে পড়ে থাকত শিল্পীদের বাড়িতেই।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এখন ডোকরা শিল্পের সুদিন। তৈরি হয়েছে শিল্পী সমবায়। প্রয়োজনে ওই সমবায় থেকে নামমাত্র সুদে ঋণ পাচ্ছেন শিল্পীরা। ডোকরা সামগ্রী বিক্রি করে শোধ করছেন ঋণ। শিল্পীদের থেকে সামগ্রী কিনছে রাজ্য সরকার। তৈরি হয়েছে শিল্প বিপণিও।
ডোকরা শিল্পে সুদিন যে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- শিল্পী সমবায়কে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা অনুদান, শিল্পীরা নামমাত্র সুদে ঋণ নিচ্ছেন, ডোকরার সামগ্রী বিক্রি করে ঋণ শোধ করছেন শিল্পীরা, বিশ্ববাংলা প্রকল্পে প্রতিবছর শিল্পীদের থেকে ৫০ লক্ষ টাকার সামগ্রী কিনছে রাজ্য। সরকারি উদ্যোগে বিনা খরচেই এরাজ্যের বিভিন্ন শহর ও ভিনরাজ্যের মেলায় পসরা সাজাচ্ছেন শিল্পীরা। সরকারি উদ্যোগে গ্রামে তৈরি হয়েছে দু’টি পাকা ওয়ার্ক শেড। সেখানে বসেই কাজ করতে পারছেন শিল্পীরা। শিল্প সামগ্রী সারা বছর বিক্রির জন্য গ্রামেই তৈরি হয়েছে শিল্প বিপণি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ডোকরা শিল্প। ফিরেছে সোনার িদন। তবে শিল্পীদের দাবি, কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শিল্পীদের অনুরোধ, সেই বিষয়েও নজর দিক প্রশাসন।