বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরল

News Sundarban.com :
আগস্ট ৯, ২০১৮
news-image

টানা বৃষ্টির জেরে বানভাসী কেরল। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। কেরলে জলের তোড়ে ভেসে গেল পাকা রাস্তা। জলে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। প্রবল বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এর মধ্যে ধস নেমে মারা গিয়েছেন ১১ জন। বৃহস্পতিবার অবধি এখনও ২০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে ৷ প্রবল বৃষ্টির জেরে ইডু্ক্কি জেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ ৷

ওই জেলাতেই একই পরিবারের ৫ জন-সহ ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে ৷ বানভাসি এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধারের জন্য নামানো হয়েছে সেনা। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে কেরলে এখন দুর্বিসহ অবস্থা। ভারী বর্ষণের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ২০জন। এর মধ্যে ধসের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। উত্তর মাল্লাপুরমে ৬ জন মারা গিয়েছেন। কান্নুরে ২ ও ওয়ান্ডে ১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ধসের থেকে ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এর মধ্যেই ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, চোখের নিমেষে জলের তোড়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে পাকা সড়ক।
কেরলে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। জলে ভাসছে রাজ্যের একাধিক জেলা। নৌকো নিয়ে নেমে পড়েছে সরকারি উদ্ধারকারী দল। নিচু এলাকা থেকে সাধারণকে উদ্ধার করছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। ইতিমধ্যেই শতাধিকের বেশি ঘর চলে গিয়েছে জলে তলায়। খোলা হয়েছে ১২টি ত্রাণ শিবির। পাথালাম এলুর ভেসে যাওয়ায় পারাভুর তালুক জেলা আশ্রয় নিয়েছেন হাজারের বেশি বন্যাপীড়িত।

রাজ্যের বাঁধগুলির জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে খুলে দেওয়া হয়েছে ২২টি জলাধার। গত ২৬ বছরে প্রথমবার চিরুথনি বাঁধ খোলা হয়েছে।এটিই এশিয়ার সর্ববৃহত্ বাঁধ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁধের জল ২,৩৯৮ ফুট স্পর্শ করে ফেলেছিল। সর্বোচ্চ ২,৪০৩ ফুট পর্যন্ত জলধারণ ক্ষমতা এই বাঁধের। কোচি জেলার ইদামাল্য বাঁধের চারটি দরজাই খুলে দেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে ভয়ানক আখ্যা দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তাঁর কথায়, কেরলে ইতিহাসে প্রথমবার ২২টি বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। নৌসেনা, সেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে কেরল সরকার। ৬ কলাম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নেমে পড়েছে। ওয়ান্ড জেলায় উদ্ধার কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সেনা। গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ২৪ ঘণ্টার তদারকি বিভাগ খোলা হয়েছে।