‘অজানা’ জ্বরের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যবাসী!

এবার রাজ্য ‘অজানা’ জ্বরের আতঙ্কে ! রোগমুক্তির উপায় জানা যাচ্ছে না।রোগিরা ভাবছেন ডেঙ্গি, চিকিঁসকের কাছে যাচ্ছেন, রক্ত পরীক্ষাও হচ্ছে! কিন্তু রিপোর্টে বলছে, রোগির ডেঙ্গি হয়নি! তা হলে? ইতিমধ্যেই কোচবিহার থেকে বাদুড়িয়া— এই ‘অজানা’ জ্বরে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। বাদুড়িয়ার এই ‘অজানা’ জ্বরে মারা যান স্থানীয় বাসিন্দা কাসের আলি মোল্লা। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা ছিল, মৃত্যুর অন্যতম কারণ ‘ডেঙ্গি শক’। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, মৃতদের চিকিৎসা-নথি যাচাই করে ডেঙ্গি পাওয়া যায়নি। তা হলে? গতকাল দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য কর্তাদের বক্তব্য ছিল, ‘আরও যাচাই করে দেখতে হবে।’ দিনে দিনে এই জ্বর আতঙ্কে পরিণত হচ্ছে! কী ধরনের চিকিৎসা জরুরি, তা-ও স্পষ্ট হয় না। রোগ কী ভাবে ছড়াচ্ছে, তাও অজানা! জানা যাচ্ছে না, কী কী সতর্কতা অবলম্বন জরুরি ! কাজেই, সংক্রমণ আরও মারাত্মক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে!
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, জ্বরে মৃত্যুর কারণ বিশদে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজীব সিনহা। স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য জুড়ে ‘অজানা’ জ্বর নিয়ে বিষদে আলোচনাও হয়। বলা হয়েছে, সরকারি বা বেসরকারি যে হাসপাতালেই রোগি ভর্তি হন না কেন, মৃত্যু ঘটলে তার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দফতরের থাকতে হবে। সরকারি চিকিৎসকদের একাংশই জানাচ্ছেন, কলকাতার অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তদের পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর জেলার হাসপাতালগুলিতে কড়া নির্দেশ, ডেঙ্গি আক্রান্তকে কলকাতায় রেফার করা চলবে না।কিন্তু বছর বছর হওয়া এই জ্বর যদি ‘অজানা’ই হয়, তা হলে কী সতর্কতা নিতে হবে, তা মানুষকে জানানো হচ্ছে কি? স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অজানা জ্বরে মৃত্যু হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। তাই আসল কারণ খতিয়ে দেখা যাচ্ছে না। তবে, আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।’’