এটিএম জালিয়াতিতে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী

খাস কলকাতার বুকে এটিএম জালিয়াতিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, ‘মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা নেই। এটিএম প্রতারণার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত বলেএটিএম প্রতারণায় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর ৷ অর্থমন্ত্রকের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হবেন তৃণমূল সাংসদরা, জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটবন্দির পর থেকেই চলছে দুর্ভোগ। প্লাস্টিক মানির কথা বলছে। অথচ অধিকাংশ জায়গায় ব্যাঙ্কের শাখা নেই। এই অবস্থায় সব ডিজিটালাইজেশন করতে চাইছে।’গত কয়েকদিনের ঘটনায় এটিএম আতঙ্ক কলকাতা জুড়ে ৷ প্রতারিত বহু মানুষ ৷ গায়েব লাখ লাখ টাকা ৷ রাষ্ট্রায়ত্ত হোক বা বেসরকারি ব্যাঙ্ক, সাধারণ মানুষের টাকা কি আদৌ সুরক্ষিত? সব তথ্য প্রতারকরা হাতিয়ে নেয়নি তো? এটিএম থেকে হঠাৎ করে টাকা গায়েব হয়ে যাবে না তো? এই সব চিন্তাতেই সকলের ঘুম উড়েছে। অনেকে তো এটিএম থেকে টাকা তুলতেই ভয় পাচ্ছেন।
চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কসবার ঘটনা। রবিবার, বকুলতলা লেনের এই ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে এক গ্রাহক দেখতে পান এটিএমে স্কিমার লাগানো। আবার এই এটিএম থেকেই ঢিল ছোড়া দূরত্বের হোটেলে কয়েক মাস আগে ছিল এটিএম প্রতারণায় ধৃত এক রোমানীয় যুবক। তাই এলাকাবাসীর আতঙ্ক চরমে। বেসরকারি হোক বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম। ঝা চকচকে এটিএমেএ সিসিটিভি লাগানো আছে, কিন্তু আদৌ কি সেটা কাজ করে? যদি কাজ তাহলে সিসিটিভির নাকের ডগা দিয়ে কি ভাবে দুষ্কৃতীরা তথ্য চুরি করছে। না লোক দেখিয়ে রাখা হয়েছে সিসিটিভি। শহরের বেশির ভাগ এটিএম রক্ষীবিহীন। কেন রক্ষীবিহীন ?এতদিন কেন কার নজরে আসেনি এই ঘটনা। যদি বা রক্ষী থাকে তো সে সঠিক তদারকি করে না তবে কার দায়িত্বে রাখা এটিএম গুলি? একটি নির্দিষ্ট সময় এক জন গ্রাহক থাকতে পারেন কাউন্টারের মধ্যে কিন্তু মাঝে মাঝেই দেখা যায় একের বেশী গ্রাহকের আনাগোনা। কার্ড নম্বর, পিন নম্বর, সবই অনায়াসে জানতে পারছে একে অন্যের। সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও ভয়ে দানা বেঁধেছে।