শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্ষমতায় এসে মুকুব করলেন কৃষি ঋণ

News Sundarban.com :
জুলাই ৫, ২০১৮
news-image

কুমারস্বামী কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, “ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কৃষি ঋণ মুকুব করব”। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে না হলেও শপথ নেওয়ার ৪২ দিনের মাথায় প্রথম বাজেট অধিবেশনেই আংশিক কৃষি ঋণ মুকুবের সিদ্ধান্ত নিলেন কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। কৃষি ঋণ মুকুবের পাশাপাশি বৃহস্পতিবারের এই বাজেটে আরেকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন কুমারস্বামী। পেট্রল ডিজেলের উপর ২ শতাংশ কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার।
যেসব কৃষকরা ২ লক্ষ টাকার কম ঋণ নিয়েছেন এদিনের সিদ্ধান্তে তাঁদের ঋণভার মুকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমারস্বামী সরকার। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব কৃষকরা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা এই সুবিধা পাবেন। তবে সরকারিকর্মীদের পরিবারের কোনও সদস্য বা সমবায় বিভাগের কর্মীরা অথবা যেসব কৃষক বিগত ৩ বছর আয়কর জমা দিয়েছেন, তাঁরা এই ঋণ মুকুবের আওতায় আসবেন না। কিন্তু, যেসব কৃষক এই শর্তগুলির মধ্যে পড়েন অথচ ঋণ মুকুব করেছেন, তাঁদের ‘পুরস্কৃত করতে’ মিটিয়ে দেওয়া ঋণের সমান পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসাবে আবারও দেওয়া হবে অথবা ২৫ হাজার টাকার মধ্যে যেটা কম হবে, তা প্রদান করা হবে সরকারে পক্ষ থেকে।

সূত্রের খবর, কর্ণাটক সরকারের এই ঋণ মুকুবের সিদ্ধান্তে আনুমানিক খরচ হবে ৬,৫০০ কোটি টাকা। তবে রাজকোষে এই বিপুল পরিমাণ অর্থিক দায়ভার চাপায় রীতিমতো শঙ্কিত অর্থনীতিবিদ ও আমলা মহল। কিন্তু, অর্থ দফতর নিজদের হাতে নেওয়ার ক্ষেত্রে জেডিএস-এর একরোখা মনোভাব থেকেই বোঝ গিয়েছিল যে ঋণ মুকুবের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষায় মরিয়া হবে কুমারস্বামীর দল। অন্যদিকে, পেট্রল ও ডিজেলের উপর দুই শতাংশ করে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুমারস্বামী। এরআগে কর্ণাটকে পেট্রল ও ডিজেলের উপর যথাক্রমে ৩০ ও ১৯ শতাংশ হারে কর নেওয়া হত। এবার থেকে বর্ধিত হারে অর্থাত্ পেট্রলের উপর ৩২ শতাংশ ও ডিজেলের উপর ২১ শতাংশ কর নেওয়া হবে।