পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ। সরকারি বাংলো, কটেজের জমিতে ভেষজ শাক-সবজির চাষ শুরু করতে চলেছে পর্যটন দফতর। স্থানীয় গো-পালন ও পোলট্রি খামার মালিকদেরও সামিল করা হচ্ছে কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামে। উত্তরের দার্জিলিং হোক। বা দক্ষিণের বকখালি। পর্যটন আজ শুধু ঘুরতে যাওয়া বা সাইট সিয়িং-য়ে সীমাবদ্ধ নেই। গন্তব্যে পৌঁছে সেখানকার পরিবেশ, সংস্কৃতির সঙ্গে আরও বেশি করে একাত্ম হতে চাইছেন দেশি, বিদেশি পর্যটকরা। চাহিদা বাড়ছে হোম স্টে-র। সে কথা মাথায় রেখেই এবার পর্যটক টানতে এগ্রি ট্যুরিজিমের উপর জোর দিয়েছে পর্যটন দফতর।দেশি-বিদেশি পর্যটকদের এগ্রি টুরিজমের স্বাদ দিতে রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত। এগ্রি টুরিজমে জোর দিতে বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্রগুলিকেও এগিয়ে আসার আরজি জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী। এর পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় গো পালন ও পোলট্রি মালিকদের আর্থিক সাহায্য করতে সামিল করা হচ্ছে কমিউনটি ডেভলেপমেন্ট প্রোগ্রামে। তাঁদের কাছ থেকে গরুর দুধ, মুরগির ডিম বা দেশী মুরগি কিনবে পর্যটন দফতর। প্রতিবেশী সিকিম অরগ্যানিক রাজ্য হিসেবে ঘোষিত।
সরকারি কটেজ বা বাংলোর বাইরে ভেষজ শাক-সবজি চাষ, অল্প জমিতেই চাষের পরিকল্পনা ,মরশুমি সবজির সঙ্গেই অন্য সবজিও চায, পর্যটকরা ভেষজ চাষ পরখ করতে পারবেন, পর্যটকরা পছন্দমত সবজি নিতে পারবেন।
এগ্রি ট্যুরিজিম নিয়ে রাজ্য পর্যটন দফতরের নয়া উদ্যোগে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। শুধু পর্যটনকেন্দ্রই নয়, সর্বত্রই ভেষজ শাক-সবজির কদর। তাতেই উৎসাহিত হয়ে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি হোম স্টে-র মালিক ভেষজ ফসলের চাষ শুরু করেছেন। রাজ্যে এই নয়া উদ্যোগে পর্যটন দফতর নতুন দিশা দেখছে।