বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিশুদের উপর থেকে চাপ কমাতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বইয়ের ওজন কমতে চলেছে

News Sundarban.com :
জুন ১৮, ২০১৮
news-image

২০১৩ সালে ক্লাস ওয়ানের নতুন বই তৈরি হয় । ২০১৪-তে ক্লাস টুয়ের নতুন বই তৈরি হয় । ২০১১ সালে রাজ্যে সরকার বদলের পর বই নিয়ে নতুন ভাবনা । সেই বইগুলিই ফের বদলানো হবে । আগামী শিক্ষাবর্ষে বই বদলাবে । প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে তিন বার পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন । এপ্রিল, অগাস্ট ও ডিসেম্বর মাসে । এই তিন বারে পরীক্ষার সিলেবাস থাকবে সেই অনুযায়ী তিনটি বই হচ্ছে । এর ফলে পৃষ্ঠার সংখ্যাও কমবে ৷ মানসিক চাপও কমতে পারে বলে । শিশুদের মোটা বই পড়তে অসুবিধা হচ্ছিল । পাতলা বই হওয়ায় শিশুদের তা পড়তে সুবিধা হবে । যদিও ক্লাস ওয়ান ও ক্লাস টু-য়ের পাঠ্য বই স্কুলেই নেয়, স্কুলেই রাখে । তা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যায় না । শুধুমাত্র সহজপাঠ বাড়িতে নিয়ে যায় ।
শিশুদের উপর থেকে চাপ কমাতে এবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বইয়ের ওজন কমাতে চলেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর । দুই শ্রেণিতেই বছরে তিন বার মূল্যায়নের কথা মাথায় রেখে, তৈরি হচ্ছে তিনটি আলাদা আলাদা বই । ক্লাস ওয়ান ও ক্লাস টুয়ের বইয়ের ওজন কমানো হচ্ছে । এতদিন ধরে ক্লাস ওয়ানে একটি বই আমার বাংলা ও ক্লাস টুয়ের একটি বই আমার বাংলা পড়ুয়াদের দেওয়া হয় । পাঠ্যবই , সহজপাঠ বাদ দিয়ে । এর মধ্যেই প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় ভাষা, গণিত ও অন্যান্য কয়েকটি পরিবেশ পরিচয় সংক্রান্ত ধারণার বিষয় বইটির মধ্যে থাকত । এর মধ্যেই উত্তর লেখারও জায়গা ছিল । ক্লাস ওয়ানের বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৫০-র কাছাকাছি । যার ওজন ৭০০ গ্রামের কিছু বেশি ক্লাস টুয়ের বইয়ের পাতা প্রায় ৪০০ । যার ওজন ৬০০ গ্রামের কাছাকাছি ।

পুরুলিয়া, দার্জিলিং, হলদিয়া-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে অভিযোগ, এই মোটা বই পড়তে অসুবিধা হচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকমাস আগেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরকে প্রস্তাব দেয় সিলেবাস কমিটি । সেই অনুযায়ীই বইয়ের ওজনে রদবদলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হল ৷

রাজ্যের পথে হেঁটে বেসরকারি স্কুলগুলিও কি পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে ? ফের উঠল প্রশ্নটা ।